সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তান, চিনের পর তালিবানকে কার্যত স্বীকৃতি দেওয়ার পথে হাঁটল ব্রিটেনও (Britain)। প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে কাজও করবে ব্রিটেন সরকার। এমন কথা জানিয়েছেন খোদ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (British PM Boris Johnson)। স্বাভাবিকভাবে তাঁর এহেন মন্তব্যের পর বেড়েছে জল্পনা।
আফগানিস্তানে (Afghanistan) ক্ষমতা দখল করেছে তালিবান। কার্যত গায়ের জোরে আফগানভূমের ক্ষমতা দখল নিয়েছে তারা। আন্তর্জাতিক মহল কি তাদের স্বীকৃতি দেবে, এখন এই প্রশ্নটাই সবচেয়ে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল পাকিস্তান প্রথম থেকেই তালিবানকে (Taliban Terror) সমর্থন করে। ওয়াকিবহাল মহল বলে, ইসলামাবাদের সমর্থন ছাড়া তালিবানের এই উত্থান সম্ভব ছিল না। আমেরিকার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে আফগানিস্তানে তালিবানকে সমর্থন করেছে চিন। একইপথে হেঁটেছে রাশিয়াও। এবার সেই পথই কি অনুসরণ করছে ব্রিটেন, উঠছে প্রশ্ন।
[আরও পড়ুন: Taliban Terror: নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের পালটা মার, বাগলানে নিহত ৩০০ তালিবান]
শুক্রবার মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠকের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন জানান, “আমি আফগান নাগরিকদের নিশ্চিন্ত করতে চাই যে আফগানিস্তানের জন্য রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিকভাবে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা চালিয়ে যাব। তবে যদি প্রয়োজন পড়ে তালিবানের সঙ্গেও কাজ করব।” ইতিমধ্যে আফগান ইস্যুতে জি-৭ (G-7) বৈঠক ডাকা হয়েছে। এর পরই প্রশ্ন উঠছে তবে কি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন তালিবান সরকারকে সমর্থন করবে?
এ প্রসঙ্গে বলে রাথা ভাল, চিন (China) ঘুরপথে তালিবানের পাশে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়ার (Russia President) প্রেসি়ডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, “তালিবান আফগানিস্তান দখল করে নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের মতামত আফগানিস্তানের উপর চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়।” অর্থাৎ ‘সন্ত্রাস’ আফগানিস্তানের বাইরে না গেলে রাশিয়াও তালিবান নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাবে না। একই পথে হেঁটেছে আমেরিকাও। এবার নয়াদিল্লি কোন পথে হাঁটে সেটাই এখন দেখার। তবে ভারত, জার্মানি, তাজিকিস্তান-সহ বেশ কয়েকটি দেশের জোট আগেই জানিয়েছিল, সামরিক শক্তি খাটিয়ে কাবুল দখল করা হলে আফগানিস্তানের সরকারে তালিবানকে মান্যতা দেওয়া হবে না। তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তালিবান নিয়ে ভারত আপাতত ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’-এর পথে হাঁটছে।