সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ন্যাটো সামরিক জোটে (NATO) সদস্যপদ পাকা করে ফেলেছে ফিনল্যান্ড (Finland) ও সুইডেন (Sweden)। আর তাতেই প্রথম সিলমোহর দিল কানাডা (Canada)। ইউক্রেনে রুশ হামলার পরই নিরপেক্ষ অবস্থানে ইতি টেনেছিল দুই ইউরোপীয় দেশ। প্রথমে পরমাণু হামলার হুমকি দিলেও গত মাসের শেষেই রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন জানিয়েছিলেন, ওই দুই দেশের ন্যাটো সদস্যপদ প্রাপ্তি নিয়ে তাঁর কোনও সমস্যা নেই। এবার কানাডার সবুজ সংকেতের পরে সামরিক জোটের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল ফিনল্যান্ড ও সুইডেন।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সূত্রে জানা যাচ্ছে, ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে সমর্থন করার প্রক্রিয়া শুরুর আগেই সেদেশের বিদেশমন্ত্রী মেলানি জলি বিরোধী সাংসদদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ো আলোচনা করেন মঙ্গলবার। এরপরই তিনি জানিয়ে দেন, আমরাই প্রথম দেশ হিসেবে এই প্রস্তাবে অনুমোদন দিতে চাই। এদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ”ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের ন্যাটোতে দ্রুত এবং কার্যকরভাবে যুক্ত হওয়ার এবং জোটের সম্মিলিত প্রতিরক্ষায় অবদান রাখার পূর্ণ আস্থা রয়েছে কানাডার।”
[আরও পড়ুন: কালী পোস্টার বিতর্ক: মহুয়ার গ্রেপ্তারির দাবিতে বিক্ষোভ, পুলিশকে আটদিন সময় দিলেন শুভেন্দু]
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পরেই ন্যাটোয় যোগ দিতে তৎপর হয়ে ওঠে হেলসিঙ্কি ও স্টকহোম। মে মাসে সরকারি ভাবে ন্যাটোয় যোগ দিতে চেয়ে আবেদনপত্র জমা দেয় দুই দেশ। যদিও আপত্তি তোলে তুরস্ক। জানিয়ে দেয়, প্রয়োজনে ভেটো প্রয়োগ করে দুই দেশের যোগদান আটকে দেবে তারা। তুরস্কের অন্দরে কুর্দিশদের সমর্থন করার অভিযোগ তোলা হয় উত্তর ইউরোপের দুই দেশের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, কুর্দিশদের জঙ্গি সংগঠন হিসাবে চিহ্নিত করে তুরস্কের সরকার। কিন্তু তাদের প্রতিবাদ সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ন্যাটো সামরিক জোটের অন্তর্ভুক্ত হওয়া পাকা করে ফেলেছে দুই দেশ।
তবে পুতিন যতই জানান, ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটো সদস্যপদ প্রাপ্তি নিয়ে তাঁর আপত্তি নেই, সেই সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন আগ্রাসী সামরিক পরিকাঠামো তৈরি করলে প্রত্যাঘাত করা হবে। তবে একথা বললেও পুতিনের সুর নরমই ছিল। আমেরিকা ও পশ্চিমের আর্থিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েই পুতিনের এহেন নরম ভঙ্গি বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।