সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের অর্থনৈতিক দুর্দশা মোচনে সাহায্য করবে চিন। এমনটাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চিনা প্রসিডেন্ট শি জিনপিং। ঋণের ভারে গলা পর্যন্ত ডুবে থাকা ইসলামাবাদকে সোমবার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার বা প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
গত সপ্তাহে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের চিন সফরের সময়ই চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কাজ দ্রুত শুরু করে দেওয়ার বিষয়ে যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছিল। সেই সময় পাকিস্তানকে আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুত দিয়েছিলেন জিনপিং। এর পর শনিবার পাক অর্থমন্ত্রী ইশাক দার বলেছিলেন, “আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে চিনের থেকে ৯০০ কোটি এবং সৌদি আরবের থেকে ৪০০ কোটি ডলার সাহায্য পাবে পাকিস্তান।”
[আরও পড়ুন: আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনে অগ্নিপরীক্ষা বাইডেনের, ডেমোক্র্যাটদের ‘ট্রাম্প’ কার্ডে কি মিলবে ফল?]
সোমবার প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের বিবৃতি প্রকাশ করেন চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান। সেসময় তিনি বলেন, “পাকিস্তান আমাদের অনেক দিনের বন্ধু। তাদের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে আমরা সমস্ত চেষ্টা করব।” তবে পাকিস্তানের রাজনীতিতে সাম্প্রতিক অস্থিরতা এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের উপর গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য না করে ঝাও বলেন, “আমরা ওঁর (ইমরান) দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।”
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে দু’দিনের চিন (China) সফরে যান পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। সূত্রের খবর, চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) সঙ্গে বৈঠকে বসেন শরিফ। দুই দেশের বাণিজ্য ও বিভিন্ন কূটনৈতিক বিষয়ে কথা হয় বৈঠকে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, আগেই চিনের কাছে প্রায় ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান। ‘রি-পেমেন্ট’ বা টাকা ফেরত দেওয়ার মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও সেই টাকা এখনও শোধ করতে পারেনি ইসলামাবাদ। তার উপর আরও ঋণ চাইছেন শাহবাজ। ‘রি-পেমেন্টের’ মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদনও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে, গত জুন মাসে ভয়াবহ বন্যায় দেশটির প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। ফলে দেশটি কার্যত বেজিংয়ের হাতে বিক্রি হয়ে যাওয়ার জোগাড় বলেই মত বিশ্লেষকদের।