সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাইওয়ানকে ৩৮৫ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। এই ঘটনায় যারপরনাই অসন্তুষ্ট চিন। রবিবার এই ইস্যুতে কড়া বিবৃতি দেওয়া হল চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফে। জানানো হয়েছে, অবিলম্বে তাইওয়ানকে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুক আমেরিকা। অন্যথায়, কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে আমেরিকার বিরুদ্ধে।
দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানকে নিজেদের দেশের অংশ হিসেবে দাবি করে চিন। তবে তাইওয়ানের পালটা দাবি, তারা চিনের অংশ নয়, বরং স্বাধীন রাষ্ট্র। নিজস্ব প্রশাসনও রয়েছে তাইওয়ানের। সম্প্রতি আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং তে। এই সফরেই আমেরিকার থেকে ৩৮৫ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কেনার চুক্তি সাক্ষর হয় তাইওয়ানের। যার মাধ্যমে মার্কিন যুদ্ধবিমান এফ-১৬ ও রাডার কিনবে তাইওয়ান। তবে এই ঘটনায় চিনের দাবি, আমেরিকা চিনের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে। যা আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন।
চিনা বিদেশমন্ত্রকের তরফে আমেরিকাকে কড়া বার্তা দিয়ে জানানো হয়েছে, আমেরিকার তরফে তাইওয়ানকে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত সরাসরি চিনের জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার উপর হামলা। তাইওয়ানকে চিন থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রকারী বিছিন্নতাবাদী শক্তিকে সমর্থক করা হচ্ছে। কোনও উগ্রপন্থীদের এভাবে অস্ত্র বিক্রি করা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন। আমেরিকা যদি তাইওয়ানকে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করে সেক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থে এবং দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় আমেরিকার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, আমেরিকার সঙ্গে তাইওয়ানের সেভাবে সরাসরি কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে এই দ্বীপরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমর্থনদাতা ও বৃহৎ অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ আমেরিকা। আসলে আমেরিকা চায় চিনকে জব্দ করতে দক্ষিন চিন সাগর ও বঙ্গোপসাগরে নিজেদের ঘাঁটি তৈরি করতে। সেই লক্ষ্যেই তাইওয়ান আমেরিকার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দ্বীপ। চিনের দাবি উড়িয়ে তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মান্যতা দেয় আমেরিকা। এবং এই রাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক সামরিক সম্পর্ক উন্নত করতেও তৎপর হয়ে উঠেছে বাইডেনের দেশ। যা বিপদবার্তা হিসেবে দেখছেন শি জিনপিং।