সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাক সেনপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। দুই দেশের মধ্যে সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করতেই এই বৈঠক বলে খবর। এদিকে, লাদাখে সীমান্ত সংঘাতের আবহে চিন-পাকিস্তান জোটের অভিসন্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত (India)।
[আরও পড়ুন: ফাটল ধরছে তালিবান-পাকিস্তান সম্পর্কে, ইসলামাবাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে জেহাদের ‘দানব’]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বুধবার ইসলামাবাদে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। সূত্রের খবর, বৈঠকে চিনের বিদেশনীতির ভূয়সী প্রশংসা করে সমর্থন প্রকাশ করেন পাক সেনাপ্রধান। বাজওয়ার বক্তব্য, চিনের বিদেশনীতি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও ভারসাম্য বজায় রেখে চলেছে। দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে বিশ্ব শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করছে চিন। অন্যদিকে, পাক সেনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন চিনা বিদেশমন্ত্রী। ওয়াং ই-র কথায়, দুই দেশের মধ্যে সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক মজবুত করতে পাক সেনার ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডরের সুরক্ষা ও পাকিস্তানে কর্মরত চিনা নাগরিকদের সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন চিনের বিদেশমন্ত্রী।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, পাকিস্তানে সদ্যসমাপ্ত ইসলামিক দেশগুলির সংগঠন OIC বা ‘অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন’-এর (Organisation of Islamic Cooperation) অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে কাশ্মীর ইস্যুতে মন্তব্য করেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই (Wang Yi)। কার্যত কাশ্মীর ইস্যুতে ইসলামিক দেশগুলির পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন তিনি। যদিও চিন ওআইসি-র সদস্য নয় তবুও পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ভারতকে চাপে ফেলার চেষ্টা করেছে দেশটি। লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চিবের মধ্যে যে সংঘাত চলছে এহেন পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনাবলীর উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে নয়াদিল্লি।
বিশ্লেষকদের মতে, সম্প্রতি ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে চিন। ভারতও নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে কার্যত মস্কোর পাশেই দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বুধবার রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার আনা একটি প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকে ভারত। রাষ্ট্রসংঘের (UN) নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেনে আটকে পড়া বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং উদ্ধারকাজ নিয়ে একটি প্রস্তাব আনে রাশিয়া। ওই প্রস্তাবে রাশিয়ার পাশাপাশি সমর্থন ছিল সিরিয়া, উত্তর কোরিয়া এবং বেলারুশের। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নির্বাচনের সময় অবশ্য চিন ছাড়া আর কোনও দেশই এই প্রস্তাবের সমর্থনে ভোট দেয়নি। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় শুধু রাশিয়া (Russia) এবং চিন। ফলে চিন ও রাশিয়া আরও কাছাকাছি এসেছে। কূটনৈতিক ও সামরিক ভাবে এই সখ্য ভারতের কাছে দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠতে পারে।