সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজও অধরা ডি কোম্পানির বেতাজ বাদশা দাউদ ইব্রাহিম (Dawood Ibrahim)। শুধু সে নয়, তার প্রধান শাগরেদ ছোটা শাকিল অথবা টাইগার মেমন, জাভেদ চিকনাদেরও খোঁজ মেলেনি। কিন্তু বারবার শোনা গিয়েছে, পড়শি দেশ পাকিস্তানেই দিব্যি বহাল তবিয়তে রয়েছে ডি কোম্পানি।
সেই গুঞ্জন যে অযথা নয় তা ফের পরিষ্কার হল। এনআইএ’র চার্জশিট থেকে জানা যাচ্ছে, করাচি বিমানবন্দরে কার্যতই রাজত্ব করে চলেছে দাউদ! এমনই তার দাপট যে ছোটা শাকিলের পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা সেলিম কুরেশির পরিবার ২০১৩ সাল থেকে তিন-তিনবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে পাকিস্তানে (Pakistan) প্রবেশ করেছে। এবং তাদের প্রবেশ ও প্রস্থান, কোনও সময়ই করাচি বিমানবন্দরে কোনও স্ট্যাম্পও লাগাতে হয়নি তাদের।
[আরও পড়ুন: খোদ দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধানের শ্লীলতাহানি, গাড়িতে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গেল মদ্যপ]
সন্ত্রাসে আর্থিক মদত সংক্রান্ত একটি মামলায় সেলিমের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এনআইএ। নেওয়া হয়েছে তার বিবৃতিও। সেখানেই জানা গিয়েছে এমন তথ্য। চার্জশিটে যার উল্লেখ করে বলা হয়েছে করাচি বিমানবন্দর রীতিমতো নিয়ন্ত্রণ করে দাউদ।
গত নভেম্বর মাসেও খবরে এসেছিল দাউদ। ভারতে ‘ডি-কোম্পানি’র (D-Company) হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো ব্যক্তিদের হাওয়ালার মাধ্যমে বিশাল পরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছিল অন্ধকার জগতের বাদশা দাউদ ইব্রাহিম বলে জানা যায়। ওই অভিযুক্তরা বর্তমানে এনআইএ (NIA) হেফাজতে রয়েছে। আদালতে এই মামলার চার্জশিটও জমা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি আবার দাউদ সংযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড হয় শিল্পপতি জেএম জোশী-সহ ৩ জনের। অভিযোগ উঠেছিল, জোশী এবং অন্য তিন অভিযুক্ত কুড়ি বছর আগে পাকিস্তানে (Pakistan) গুটখার ব্যবসা করতে গ্যাংস্টার দাউদকে সাহায্য করেছিলেন। ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরেই তিন জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত। এবার সামনে এল পাকিস্তানে দাউদের কর্তৃত্বের নতুন খবর।