সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলোরাডোয় ইজরায়েলি সমাবেশে সন্ত্রাসী হামলার জের, এবার বিশ্বের ১২টি দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে বুধবার নজিরবিহীন নির্দেশিকায় স্বাক্ষর করেছেন তিনি। কোন বারোটি দেশের নাগরিকরা আর মার্কিন মুলুকে প্রবেশ করতে পারবেন না?
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সব দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে সেগুলি হল আফগানিস্তান, চাদ, কঙ্গো, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, মায়ানমার, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেন। আরও ৭টি দেশের নাগরিকদের উপর কঠোর ভ্রমণ বিধিনিষেধ কার্যকর করেছে হোয়াইট হাউস। ট্রাম্পের নয়া নির্দেশিকা কার্যকর হবে আগামী সোমবার থেকে।
এই বিষয়ে বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছেন, "আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষায় আমাকে এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।" মার্কিন প্রেসিডেন্টের একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। সেখানে ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন, সম্প্রতি কলোরাডোতে ইজরায়েলিদের শান্তি মিছিলে হামলাই তাঁকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। তিনি দাবি করেন, "এই ধরনের ঘটনা প্রমাণ করে, অতি মাত্রায় বিদেশিদের প্রবেশ আমাদের জন্য কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।" ট্রাম্প আরও বলেন, "ইউরোপে যেটা ঘটেছে, আমরা তা আমেরিকায় হতে দেব না। আমরা এমন কোনও দেশকে খোলা দরজা দেব না, যেখান থেকে আগতদের সঠিকভাবে যাচাই বা পর্যবেক্ষণ সম্ভবই নয়।" মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাফ কথা, "যারা আমাদের ক্ষতি করতে চায়, তাদের আমাদের দেশে ঢুকতে দেব না।"
ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাতের মাঝে ক'দিন আগে আমেরিকার কলোরাডোয় ইজরায়েলিদের একটি শান্তি মিছিলে হামলা হয়। বোল্ডার শহরের ইহুদি বিদ্বেষী এই ঘটনা পরিকল্পিত সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ বলে নিশ্চিত করেছে মার্কন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। সপ্তাহখানেক আগেই ওয়াশিংটন ডিসিতে ইজরায়েল দূতাবাসে এক অনুষ্ঠান চলাকালীন হামলা চালায় এক যুবক। ইলিয়াস রডরিগেজ নামে ওই আততায়ীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল দুই দূতাবাস কর্মীর। এই পরিস্থিতিতে বারো দেশের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তাৎপর্যপূর্ণ। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে প্রথম মেয়াদেও মুসলিম-প্রধান সাতটি দেশের নাগরিকদের আমেরিকা প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন ট্রাম্প। সেই দেশগুলি হল ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেন।
