shono
Advertisement

Breaking News

Donald Trump

সুইং স্টেটে জয়জয়কার, কেন ট্রাম্পকেই বেছে নিল ৭ নিরপেক্ষ প্রদেশ?

আমেরিকার ৭ নিরপেক্ষ প্রদেশের ৭টিতেই জয় পেয়েছে রিপাবলিকান পার্টি।
Published By: Amit Kumar DasPosted: 01:55 PM Nov 06, 2024Updated: 03:13 PM Nov 06, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুইং স্টেটগুলিতেও জয়জয়কার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। আমেরিকার ৭ নিরপেক্ষ প্রদেশের ৭টিতেই জয় পেয়েছে রিপাবলিকান পার্টি। গতবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই সাতটির মধ্যে ৬টি নিজেদের দখলে রেখেছিল ডেমোক্রেটিকরা। 

Advertisement

মার্কিন রাজনীতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বরাবরই নির্ণায়কের ভূমিকা পালন করে এই ৭ নিরপেক্ষ প্রদেশ। যেগুলি হল, পেনসিলভেনিয়া, উইসকনসিন, মিশিগান, জর্জিয়া, নেভাদা, অ্যারিজোনা ও নর্থ করোলিনা। বলা হয়, এই ৭ প্রদেশ যার দিকে ঝোঁকে আমেরিকার মসনদ যায় তাঁর দখলে। নির্বাচনের প্রাথমিক প্রবণতা অনুযায়ী, এই ৭ প্রদেশই এবার রিপাবলিকান প্রার্থীকে দুহাত উজাড় করে আশীর্বাদ দিয়েছে। ৭টি সুইং স্টেটের ৭টিতে এবং ২৪টি প্রদেশে ট্রাম্প জয়ের পথে এগিয়ে যাওয়ায়, স্থির হয়ে যায় সাদা বাড়ির ভবিষ্যৎ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল ভোটের মধ্যে ট্রাম্প চলে গিয়েছেন ২৬৭-তে। অন্যদিকে, কমলা হ্যারিস মাত্র ২২৪। রিপাবলিকানদের এই বিরাট সাফল্যের পিছনে ট্রাম্পের নীতিগুলিকেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

রাজনৈতিক মহলের দাবি অনুযায়ী, ট্রাম্পের উত্থানের পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ অবশ্যই অভিবাসন নীতি। অবৈধভাবে আমেরিকায় বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে শুরু থেকে সরব ডোনাল্ড ট্রাম্প। অভিযোগ ওঠে বাইডেনের শাসনে আমেরিকায় অনুপ্রবেশ আরও মাত্রাছাড়া আকার নিয়েছে। নির্বাচনী প্রচারেও বার বার এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী। 'সাদা বাড়ি' দখলের লড়াইয়ে এই নীতিই ট্রাম্পকে এগিয়ে রেখেছিল হ্যারিসের তুলনায়। দ্বিতীয় কারণ হিসেবে উঠে আসছে বাইডেন শাসনে আমেরিকার দুর্বল অর্থনীতি এবং ট্রাম্পের ‘স্ট্রং ম্যান’ ভাবমূর্তি।

করোনা মহামারির পর থেকে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি চলছে আমেরিকায়। নির্বাচনী প্রচারে বার বার এই ইস্যুকে তুলে ধরেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুর্বল অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কমলা হ্যারিস জনগণকে আশ্বস্ত করলেও মন ভেজেনি জনগণের। ফলাফলের ট্রেন্ড বলছে, এই ইস্যুতে পরিবর্তন আনতে ট্রাম্পকে সুযোগ দিতে চান তাঁরা। এর পাশাপাশি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কারণ হল, ট্রাম্পের ‘স্ট্রং ম্যান’ ভাবমূর্তি। মধ্যপ্রাচ্য ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য বার বার বাইডেন সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন ট্রাম্প। ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে শত শতকোটি ডলারের অর্থসহায়তা ও অস্ত্র দিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ আমেরিকার বেশিরভাগ মানুষ। অন্যদিকে, বাইডেন সরকারের এই নীতির সমালোচনা করে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তিনি যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন বিশ্বে বড় কোনো যুদ্ধ বাধেনি। ফলে মার্কিন অর্থনীতিকেও চাপের মুখে পড়তে হয়নি। বাইডেনের দুর্বল বিদেশনীতিও ট্রাম্পের ক্ষমতায়ণের অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

উল্লেখ করা দরকার, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটাভুটির পাশাপাশি ১০০ সদস্যের সেনেটের ৩৪টি এবং নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের ৪৩৫ আসনেও নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনের নিয়ম অনুসারে গত অক্টোবর মাস থেকেই ভোটগ্রহণের সূচনা হয়। ২০ সেপ্টেম্বর আগাম ভোট বা ‘আর্লি ভোট’ হয় ৪৭টি রাজ্যে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • আমেরিকার ৭ নিরপেক্ষ প্রদেশের ৭টিতেই জয় ট্রাম্পের।
  • ট্রাম্পের উত্থানের পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে উঠে আসছে অভিবাসন নীতি।
  • বাইডেনের দুর্বল বিদেশ নীতি ও দেশের বেহাল অর্থনীতি ট্রাম্পের জয়ের কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
Advertisement