সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট পদে বসার প্রথম দিন থেকেই ভারতীয়দের বিপাকে ফেলতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে রিপাবলিকান নেতা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়টি পাকাপাকিভাবে বন্ধ করে দেবেন। সদ্যসমাপ্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন ট্রাম্প। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন থেকেই জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে গ্রিন কার্ডে থাকা ভারতীয়দের সন্তানরাও আগামী দিনে আমেরিকার নাগরিক হওয়ার সুযোগ পাবে না।
অভিবাসীদের তীব্র বিরোধী হিসাবেই পরিচিত ট্রাম্প। তাই দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হয়েই অনুপ্রবেশ আর অভিবাসন রুখতে কড়া নীতি গ্রহণ করতে চলেছেন তিনি। রিপাবলিকান প্রার্থীদের নির্বাচনী ওয়েবসাইটে লেখা রয়েছে, দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই একটি নির্দেশিকায় সই করবেন ট্রাম্প। সেই নির্দেশিকায় বলা থাকবে, আমেরিকায় জন্মালেই কোনও শিশুকে আর নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। সন্তানের পিতামাতার মধ্যে যেকোনও একজনকে মার্কিন নাগরিক হতে হবে। অথবা থাকতে হবে গ্রিন কার্ড। তবেই তাঁদের সন্তানরা আগামী দিনে আমেরিকার নাগরিক হতে পারবে।
নতুন এই নীতির ফলে বিপাকে পড়বেন আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয়রা। ২০২২ সালের মার্কিন জনগণনা অনুযায়ী, আমেরিকায় ৪৮ লক্ষ ভারতীয় বসবাস করেন। তার মধ্যে ১৬ লক্ষই জন্মগ্রহণ করেছে মার্কিন মুলুকে। ট্রাম্পের নয়া নীতি অনুযায়ী, তারা কেউই মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য নয়। কারণ তাদের পিতামাতা মার্কিন নাগরিক নন বা তাঁদের গ্রিন কার্ড নেই। তবে ট্রাম্পের এই নীতি নিয়ে আইনি লড়াইয়ের জায়গা রয়েছে বলেই দাবি আইনজীবীদের উল্লেখ্য, অভিবাসীদের উপরেই অনেকখানি নির্ভর করে মার্কিন অর্থনীতি। সেদেশের প্রচুর সংস্থায় কর্মরত আছেন বিদেশিরা। ট্রাম্পের নয়া নীতির ফলে তাঁদের সকলেরই সমস্যা বাড়বে। প্রসঙ্গত, আমেরিকায় গ্রিন কার্ডের আবেদন জানিয়ে অপেক্ষা করছেন অন্তত ১০ লক্ষ ভারতীয়। সেই আবেদনও মঞ্জুর হবে কিনা, সেই নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে।