সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর কাছে ধরাশয়ী হয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। ইতিমধ্যেই আমেরিকার আইনসভা বা মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটের দখল নিয়ে নিয়েছেন রিপাবলিকানরা। নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টিটিভসেও উড়তে চলেছে লাল পতাকা। এখনও পর্যন্ত রিপাবলিকানদের ঝুলিতেই সবচেয়ে বেশি ভোট। ফলে প্রেসিডেন্টের গদিতে বসে নীতি প্রণয়ন বা বিল পাসের ক্ষেত্রে ট্রাম্পকে কোনও বাধার সম্মুখীন হতে হবে না।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি সেনেট ও হাউস অফ রিপ্রেজেন্টিটিভসেও ভোটযুদ্ধ হয়। এবছর ১০০ আসনবিশিষ্ট সেনেটের ৩৪টিতে ভোট হয়। অন্যদিকে নিম্নকক্ষের ৪৩৫ আসনেই লড়াই ছিল। আজ বুধবার সকাল থেকেই ভোট গণনা শুরু হয় আইনসভার দুই কক্ষের। দেখা যায় পশ্চিম ভার্জিনিয়া এবং ওহাইও-র আসনে জিতে গিয়েছেন রিপাবলিকানরা। ফলে সেনেটে ট্রাম্পের দলের আসনসংখ্যা ৪৯ থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৫২তে। শেষ পাওয়া খবর মোতাবেক ডেমোক্র্যাটদের ঝুলিতে রয়েছে ৪২টি আসন। অর্থাৎ সেনেটে দখল চলে গেল রিপাবলিকানদের হাতে। উল্লেখ্য, প্রতি ৬ বছর অন্তর ভোট হয় সেনেটে। এবারের নির্বাচনে জয়লাভ করায় আগামী ৬ বছরের জন্য আইনসভার উচ্চকক্ষের দখল থাকল ট্রাম্পের দলের হাতেই।
এবার আসা যাক হাউস অফ রিপ্রেজেন্টিটিভসের ৪৩৫ আসনের লড়াইয়ে। এখনও পর্যন্ত আইনসভার নিম্নকক্ষের ১৯৮টি আসন পেয়েছেন রিপাবলিকানরা। ডেমোক্র্যাটরা জয় পেয়েছেন ১৮০ আসনে। ফলে এখানেও উঠতে চলেছে লাল ঝড়। তবে উস অফ রিপ্রেজেন্টিটিভসের বেশ কয়েকটি আসনে এখনও গণনা চলছে। কিন্তু যা ট্রেন্ড তাতেও সবচেয়ে ভোট যাবে রিপাবলিকানদের ঝুলিতেই। প্রতি দুবছর অন্তর নির্বাচন হয় মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে।
কেন আইনসভার দখল এতটা গুরুত্বপূর্ণ? প্রেসিডেন্টের যেকোনও নীতি প্রণয়ন ও বিল পাসের ক্ষেত্রে মার্কিন কংগ্রেসের দুকক্ষেরই সমর্থন প্রয়োজন হয়। প্রেসিডেন্টের বিরোধী দল যদি আইনসভায় থাকে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ক্ষমতা অনেকটাই হ্রাস হয়ে যায়। প্রেসিডেন্টের কোনও বিল আটকে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে দুকক্ষেরই। ভোটগণনার আগে আশঙ্কা ছিল, ট্রাম্প নির্বাচন জিতলেও আইনসভার দখল যদি ডেমোক্র্যাটদের হাতে চলে যায় তাহলে যেকোনও নির্ধারণের ক্ষেত্রে বেগ পেতে হত রিপাবলিকান নেতাকে। কিন্তু হোয়াইট হাউসের পাশাপাশি এবার মার্কিন সংসদ ভবন ক্যাপিটল হিলেও জ্বলবে লাল আলো।