সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আচমকা পরপর টর্নেডোয় (US Tornedo) বিপর্যস্ত মার্কিন মুলুকের অন্তত ছ’টি রাজ্য। এর মধ্যে পাঁচটি রাজ্য কার্যত ধুলিস্যাত হয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা শতাধিক। জখম হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এখনও ঘরবন্দি কয়েক লক্ষ।
বছর শেষে একের পর এক টর্নেডো হানায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি। নিরাপত্তার স্বার্থে গতকালই কেনটাকিতে জরুরি অবস্থা (State of Emergency) জারি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত শুধু কেনটাকিতেই অন্তত ৭০ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। ঘর হারিয়েছেন আরও বহু মানুষ। একের পর এক বাড়িঘর ভেঙে পড়ায় পুরো রাজ্যটাই যেন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। শুধু কেনটাকিতেই নয়, গোটা দেশেই কমবেশি দাপট দেখিয়েছে টর্নেডো। বিশেষ করে দক্ষিণপূর্ব আমেরিকার ছ’টি রাজ্যে এর প্রভাব মারাত্মক।
[আরও পড়ুন: গোয়ায় তৃণমূলকে জোটের প্রস্তাব কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির! তুঙ্গে জল্পনা]
এই টর্নেডোগুলিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (US) ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক টর্নেডো বলে মনে করা হচ্ছে। এক একটি টর্নেডো বয়ে যাচ্ছে প্রায় ২০০ মাইল এলাকা জুড়ে। সাধারণ মানুষের বিপদ আরও বাড়ছে এই টর্নেডোগুলি পরপর হানা দেওয়ায়। আরও সমস্যা হল পরপর এই টর্নেডোগুলির আগে কোনওরকম পূর্বাভাস ছিল না। ফলে সেভাবে প্রস্তুত হতে পারেনি প্রশাসন। তাই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হয়েছে। কেনটাকির একটি ছোট শহরে মোটামুটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে দিশেহারা বাইডেন (Joe Biden) প্রশাসনও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলছেন,”এটা বিরাট বড় ট্র্যাজেডি। কতজন মারা গিয়েছেন এখনও আমরা জানি না। কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটাও অজানা।” কেনটকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশের বলছেন, ”কেনটাকির ইতিহাসে এটি সবচেয়ে ভয়ংকর ঝড়। মেফিল্ড শহর পুরো তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে।”