সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় ভোটারদের উৎসাহ দেওয়ার অনুদান বন্ধ করল আমেরিকা। বিশ্বের নানা প্রান্তে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে ৪৮৬ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছিল জো বাইডেন প্রশাসন। তার মধ্যে ভারতের জন্য বরাদ্দ ছিল ২১ মিলিয়ন ডলার। সেই অনুদান বন্ধ করছে মার্কিন প্রশাসন। উল্লেখ্য, আমেরিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের পরেই প্রকাশ্যে এল মার্কিন প্রশাসনের এই পদক্ষেপ।
বিষয়টি ঠিক কী? ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সির তরফে রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করা হয়। উল্লেখ্য, এই দপ্তরের শীর্ষে রয়েছেন মার্কিন ধনকুবের এলন মাস্ক। ওই পোস্টে জানানো হয়, আমেরিকা সরকারের খরচে কাটছাঁট করতে বেশ কিছু অনুদান বন্ধ করা হচ্ছে। বিশ্বের নানা দেশে কোন প্রকল্পগুলি বন্ধ হবে, তার তালিকাও দেওয়া হয়েছে ওই পোস্টে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, ভারতীয়দের নির্বাচনে উৎসাহিত করতে ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ করত আমেরিকা। ভারতীয় মুদ্রায় এই অঙ্কটা প্রায় ১৮২ কোটি টাকা।
কেবল ভারত নয়, বাংলাদেশ-নেপালের মতো আরও নানা দেশের অনুদানও বন্ধ করে দিয়েছে মাস্কের দপ্তর। বিশ্বজুড়ে লিঙ্গসমতা, গণতন্ত্র, নারী ক্ষমতায়নের খাতে বরাদ্দেও কাঁচি চালানো হয়েছে। উল্লেখ্য, দপ্তরের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই মাস্ক সাফ জানিয়েছিলেন, খরচ না কমালে দ্রুতই দেউলিয়া হয়ে যাবে আমেরিকা। তাই কাটছাঁটের ঘোষণা করে মাস্কের দপ্তর জানিয়েছে, বিদেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যেসব কার্যকলাপ নিয়ে 'প্রশ্ন' রয়েছে, মার্কিন করদাতাদের টাকায় চলা সেসব কাজ বন্ধ করতে হবে।
মোদির মার্কিন সফরের পরেই এই অনুদান বন্ধ করল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। উল্লেখ্য, বাইডেন জমানায় ভারতের মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা, সংখ্যালঘুদের অবস্থা, গণতন্ত্র-এসব ইস্যুতে বারবার ভারতকে বিঁধেছে আমেরিকা। সেসব মোটেই ভালোভাবে নেয়নি শাসক দল বিজেপি। তবে ট্রাম্পের তরফে এসব ইস্যুতে কোনও সমালোচনার মুখে পড়তে হবে না বলেই ধরে নিয়েছিল কূটনৈতিক মহল। নয়াদিল্লির সেই ধারণাকে সত্যি করেই ভারতীয় ভোটারদের উৎসাহ দেওয়ার অনুদান বন্ধ করল মাস্কের দপ্তর, মত ওয়াকিবহাল মহলের।
