সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইথিওপিয়ায় বন্দুকবাজের হামলার ফলে মৃত্যু হল কমপক্ষে ৩৪ জনের। নৃংশস এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম ইথিওপিয়ার বেনিশানগুল-গুমজ অঞ্চলে। বিষয়টিকে কেন্দ্র তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার রাতে পশ্চিম ইথিওপিয়া (Ethiopia)’র বেনিশানগুল-গুমজ (Benishangul-Gumuz) অঞ্চলে একটি যাত্রীবোঝাই বাসে আচমকা হামলা চালায় একদল বন্দুকবাজ। তারপর বাসে থাকা যাত্রীদের উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। এর ফলে এখনও পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। জখম হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন এই ঘটনার দায় স্বীকার না করলেও সরকারের তরফে টাইগ্রে বিদ্রোহীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এই হামলার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
[আরও পড়ুন: ভারতকে কোণঠাসা করার ছক! এশিয়ার ১৪টি দেশের সঙ্গে বৃহত্তম মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চিনের]
ইথিওপিয়ার মানবাধিকার কমিশনের তরফে একে নৃংশস হামলা বলে উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, এই অঞ্চলের অন্যান্য জায়গার মতো বেনিশানগুল-গুমজ এলাকার একটি বাসে আচমকা হামলা করে বন্দুকবাজের দল। এর ফলে অনেক জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই ইথিওপিয়ার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে টাইগ্রে বিদ্রোহীদের তুমুল সংঘর্ষ চলছে। সম্প্রতি ১২ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্রোহীদের উপর বিমান হামলা ও সম্মুখ সমর চালায় সরকারি নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। অন্যদিকে চোরাগোপ্তা চালিয়ে তাদের ব্যতিব্যস্ত করার চেষ্টা করে বিদ্রোহীরা। উভয়পক্ষের এই রক্তক্ষয়ী হামলার ফলে এখনও পর্যন্ত সেখানে অসংখ্য সাধারণ মানুষের মৃত্যুর হয়েছে। এখনও প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকে। পরিস্থিতি দেখে হাজার হাজার মানুষ ইথিওপিয়া ছেড়ে প্রতিবেশী দেশ সুদানে পালিয়ে গিয়েছেন। ২০১৯ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার জেতা ইথিওপিয়ার প্রেসিডেন্ট আবি আহমেদ শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানালেও তাতে বিদ্রোহীরা সাড়া দিচ্ছে না বলেই অভিযোগ।