সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে গাজায় হামাস-ইজরায়েল সংঘর্ষ। তার মধ্যেই তেল আভিভে হামলা লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হেজবোল্লার (Hezbollah)। ইজরায়েলের রামথা সেনা ঘাঁটিতে আছড়ে পড়ল বহু রকেট। একই ভাবে নতুন করে স্থাপিত আইডিএফের সদর দপ্তরে কামিকাজে ড্রোন হামলাও চালানো হয়েছে। সোমবারই এমন দাবি করেছে হেজবোল্লা।
গত শুক্রবার তেল আভিভে ভয়ংকর ড্রোন হামলা চালিয়েছিল ইরানের মদতপুষ্ট ইয়েমেনি বিদ্রোহী গোষ্ঠী হাউথি (Houthi)। এর পরই তাদের 'জবাব' দেয় নেতানিয়াহুর দেশ। হোদাইয়া বন্দরে হওয়া হামলায় তিনজনের মৃত্যু হয়। বেশ কয়েকজন আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই হামলার বদলা নিতেই এবার পালটা হামলা চালাল হেজবোল্লা। তবে এই প্রথম নয়।
[আরও পড়ুন: অন্ধ্রের জন্য বিশেষ প্যাকেজ, বিহারের জন্য কল্পতরু, শরিকদের ঝুলি ভরল নির্মলার বাজেটে]
গাজায় ও ইজরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইজরায়েলের একাধিক বসতি লক্ষ্য করে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে হেজবোল্লা। শুরুতে ছোটখাটো হামলা চললেও সাম্প্রতিক সময়ে তা গুরুতর আকার নিয়েছে। জুলাইয়ের শুরুতেই ইজরায়েলের সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল ওই সশস্ত্র গোষ্ঠী। হামলায় আহত হন ইজরায়েলের ১৮ সেনা জওয়ান। এই হামলার কথা স্বীকার করে নিয়েছে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষাবাহিনী (IDF)।
ইজরায়েলের পালটা হামলায় এখনও পর্যন্ত ইরান মদতপুষ্ট হেজবুল্লার ৩৫৬ জন যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েলের তরফে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী হেজবোল্লার বিরুদ্ধে কোনও কূটনৈতিক সমাধানে না পৌঁছলে লেবাননে বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে তারা। সব মিলিয়ে হামলা, পালটা রক্তাক্ত মধ্যপ্রাচ্য।