সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধান বিরোধীর আসনে বসছে ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা। তাদের দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যে ভূমিকা পালন করার সেটাই করবে তারা। তবে ইতিমধ্যে ভোটে কারচুপি, রিগিংয়ের অভিযোগ নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা। এনিয়ে শীঘ্রই একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে চলেছে তারা।
শুক্রবার রাওয়ালপিন্ডির জেলে ইমরানের সঙ্গে ৩০ মিনিটের বৈঠক সারেন নেতা আলি মহম্মদ খান। তার পরই তিনি জানান, “কোনও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়, দেশের উন্নতির জন্য যা করা দরকার সেই ভূমিকাই পালন করব।” পিটিআইয়ের আরেক নেতা ব্য়ারিস্টার মহম্মদ আলি সইফ জানিয়েছেন, “দেশ এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ পাঞ্জাবে প্রধান বিরোধীর ভূমিকা পালন করবে পিটিআই। যদিও দেশ শাসনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন আমাদের কাছে আছে। আমাদের প্রার্থীরা যে জিতেছে তার প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে।” এমনকী, দলের প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসেবে প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট আয়ুব খানের নাতি ওমর আয়ুব খান এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে আসলাম ইকবালের নাম ঘোষণা করে দিয়েছিল তারা। যদিও সেই স্বপ্নপূরণ হচ্ছে না ইমরান খানের। আপাতত বিরোধী আসনে বসছে তারা।
[আরও পড়ুন: দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বেলাগাম মধুচন্দ্রিমা আরবাজের! সুরার প্রশ্ন, ‘চা-কফি খাবে, না আমাকে?’]
ফলপ্রকাশের পর থেকে কার্যত ভোটের ময়দান থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল ইমরানের পিটিআই। দিন পাঁচেক পরে পিটিআই সূত্রে জানা যায়, দলের তরফে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ওমর আয়ুবের কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু নির্দল প্রার্থীদের পক্ষে সরকার গড়া সম্ভব নয়, যদি না কোনও দলের সমর্থন থাকে। ফলে অন্য কোনও একটি দলের সঙ্গে পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীদের হাত মেলাতেই হবে। অন্যদিকে নওয়াজ শরিফ ও আসিফ আবলি জারদারির দল হাত মিলিয়ে সরকার গড়তে চলেছে পাকিস্তানে।