সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রণক্লান্ত গাজা ‘সাফ’ করতে থেকে প্যালেস্তিনীয়দের সেখান থেকে সরাতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ইচ্ছা অনুসারেই যেন এবার পদক্ষেপ করল ইজরায়েল। সেদেশের নিরাপত্তা ক্যাবিনেট এক বিতর্কিত প্রস্তাবে অনুমোদন দিল। সেই প্রস্তাব অনুযায়ী, প্যালেস্তিনীয়দের অন্য দেশে পাঠানো হবে।

ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাৎজ বলেছেন, ''ইজরায়েলি এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করে তৃতীয় দেশে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশকারী গাজার বাসিন্দাদের জন্য একটি স্বেচ্ছাসেবী স্থানান্তরিত করা হবে।''
এই প্রস্তাবকে ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। সমালোচকরা বলছেন, এইভাবে এক যুদ্ধের মাঝখানে জাতিসংহারের পথে গেলে তা আন্তর্জাতিক আই অনুসারে মানবিকতার বিরুদ্ধে অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ হিসেবেই গণ্য হবে। যদিও ইজরায়েল সেই সমালোচনার পালটা দিয়ে বলেছে, এই অভিবাসন একেবারেই স্বেচ্ছাধীন। এবং আন্তর্জাতিক আইনের মাণদণ্ড মেনেই তা করা হবে।
আগেই ট্রাম্প বলেছিলেন, ''কার্যতই একটা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে জায়গাটা। প্রায় সব কিছুই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। মানুষ মারা যাচ্ছে। আর সেই কারণে আরব দেশগুলির সঙ্গে আমি কথা বলা শুরু করেছি। যাতে ওই সব দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নির্মাণ তৈরি করে সেখানে মানুষ থাকতে পারে। হয়তো এই পরিবর্তনের ফলে সেখানে ওরা শান্তিতে থাকতে পারবে।'' পরেও বারবার তাঁদের মুখে এই কথাই শোনা গিয়েছে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”আমরা গাজার দখল নেব। আমাদের ওটা কিনতে হবে না। ওখানে কেনার মতো কিছুই নেই। আমরা গাজা নিয়ে নেব… নিতে চলেছি।” সেক্ষেত্রে গাজার অধিবাসীদের ভবিষ্যৎ কী হবে?
এবিষয়ে আগেই ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, রণক্লান্ত ওই অঞ্চল ‘সাফ’ করতে সেখানকার ২২ লক্ষ প্যালেস্তিনীয়কে মধ্যপ্রাচ্যের ওই ভূখণ্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। তাঁদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য মিশর, জর্ডনের মতো প্রতিবেশী দেশগুলিকে অনুরোধও করেন ট্রাম্প। এমনকী গাজাকে 'ট্রাম্প-গাজা'য় রূপান্তরিত করার কথাও বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।