সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধবিরতি শেষে গাজায় আগুন ঝরাচ্ছে ইজরায়েল। হামাসের ডেরা খুঁজে খুঁজে আক্রমণ শানাচ্ছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)। বাদ যাচ্ছে না লেবাননও। হেজবোল্লার ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে রাজধানী বেইরুটে মুহুর্মুহু বোমা বর্ষণ করেছে ইজরায়েলি সেনা। দক্ষিণ লেবাননে খতম হয়েছে হেজবোল্লা কমান্ডার আহমেদ আদনান বাজ্জিগা। এদিকে, গাজায় ফের রক্ত ঝরেছে। আইডিএফের হামলায় প্রাণ গিয়েছে ২২ জনের।

২০২৩ সালে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে ইজরায়েল-লেবানন সীমান্তও। গত ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রায় হাজার খানেক পেজার বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে লেবানন। হাতে বা পকেটে থাকা পেজার দুমদাম ফাটতে শুরু করে। একদিনের মাথায় ওয়াকি-টকি, টেলিফোন- সহ একাধিক ইলেকট্রনিক ডিভাইসেও বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে। ইরানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন হেজবোল্লার সদস্যদের পাশাপাশি প্রাণ যায় সাধারণ মানুষেরও। শুধু তাই নয়, ২৭ সেপ্টেম্বর ইজরায়েলি সেনার অভিযানে নিহত হন জঙ্গি সংগঠনটির প্রধান হাসান নাসরাল্লা। কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁর উত্তরসূরি হাশেম সাফেদ্দিনকেও খতম করে আইডিএফ। বহু রক্ত ঝরার পর অবশেষে গত নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি হয় হেজবোল্লা ও ইজরায়েল।
কিন্তু ওই যুদ্ধবিরতি নামেই। দু'পক্ষের মধ্যে অনেকদিন ধরেই উত্তেজনার পারদ চড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার হেজবোল্লার ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইজরায়েল। বেইরুটের পাশাপাশি বোমা আছড়ে পড়ে দক্ষিণ লেবাননেও। সেখানেই নিকেশ হয় হেজবোল্লার রাদওয়ান ফোর্সের কমান্ডার আহমেদ আদনান বাজ্জিগা। এই খবর নিশ্চিত করে আইডিএফ জানিয়েছে, গত কয়েকমাস ধরেই এই জেহাদি তাদের টার্গেটে ছিল। কারণ তার নির্দেশে ইজরায়েলি সেনার উপরে হামলা চালাচ্ছিল হেজবোল্লা। এই ঘটনার পর ঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন লেবাননের হাজার হাজার নাগরিক।
এদিকে, গাজাতেও জারি রয়েছে মৃত্যুমিছিল। ১০ দিন আগে হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শেষ হয়েছে। তারপর থেকে ভয়ংকর আক্রমণ শানাচ্ছে আইডিএফ। গতকাল মধ্য গাজা ও খান ইউনুসে ভয়ংকর হামলা চালায় ইজরায়েলি সেনা। শিশুও মহিলা-সহ প্রাণ গিয়েছে ২২ জনের। এই মুহূর্তে মধ্য এবং দক্ষিণ গাজার বেশ কয়েকটি এলাকায় ভয়ংকর অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। মধ্য গাজার নেতজারিম করিডরের অনেকখানি দখল করে ফেলেছে তারা। এই নেতজারিম করিডরের মাধ্যমেই উত্তর এবং দক্ষিণ গাজার মধ্যে যোগাযোগ বজায় থাকে। সেই করিডর ইজরায়েলের হাতে চলে যাওয়ার পর গাজার দুই প্রান্ত কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি এলাকায় বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ইজরায়েলি সেনা।