সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাটির নিচে হেজবোল্লার(Hezbollah) গুপ্তধনের হদিশ পেল ইজরায়েল!(Israel) সেদেশের সেনার দাবি, লেবাননের রাজধানী বেইরুটের একটি হাসপাতালের তলায় অর্থভাণ্ডার গড়ে তুলেছিল হেজবোল্লা। সেখানে বিপুল অর্থ এবং সোনা গচ্ছিত রয়েছে বলে দাবি ইজরায়েলের। ওই অর্থভাণ্ডার থেকেই জঙ্গি গোষ্ঠীর কাজ চলত বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, অন্তত ৫০ কোটি ডলার লুকিয়ে রেখেছে হেজবোল্লা। সঙ্গে রয়েছে বিপুল পরিমাণ সোনাও।
ইরানের মদতপুষ্ট হেজবোল্লাকে নিকেশ করতে লেবাননে হামলার(War) ঝাঁজ ক্রমেই বাড়াচ্ছে ইজরায়েল। হেজবোল্লার ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত লেবাননের রাজধানী বেইরুট, দেশের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলগুলি। ইরানের সঙ্গে সংঘাত শুরু হওয়ার পর মূলত এই অঞ্চলগুলিতেই হামলা করে ইজরায়েল। হেজবোল্লার প্রধান হাসান নাসরাল্লাকে নিকেশ করেই থেমে নেই তেল আভিভ। রবিবার রাতেও ৩০টি হেজবোল্লা ঘাঁটিতে আক্রমণ শানায় ইজরায়েল। তার মধ্যে রয়েছে আল কার্দ আল হাসানের অধীনস্থ বেশ কয়েকটি ভবন। উল্লেখ্য, আল কার্দ আল হাসানকে ইজরায়েল এবং আমেরিকা দুই দেশই হেজবোল্লার অর্থভাণ্ডার হিসাবে চিহ্নিত করেছিল।
সোমবার একটি টিভি চ্যানেলে ইজরায়েলি সেনার মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, "আমাদের গোয়েন্দা বিভাগের পরামর্শ মতো হেজবোল্লার একটি নির্দিষ্ট ঘাঁটিতে হামলা করিনি। কারণ সেখানেই রয়েছে হাসান নাসরাল্লার বাঙ্কার। বেইরুটের একেবারে মাঝখানে অবস্থিত আল সাহেল হাসপাতালের ঠিক তলায় রয়েছে এই আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কার। যেহেতু এই বাঙ্কারে বিপুল সম্পদ রয়েছে তাই হেজবোল্লার এই ঘাঁটিতে ইজরায়েল হামলা করেনি। অনুমান করা যায় অন্তত ৫০ কোটি ডলার এবং বিপুল পরিমাণ সোনা রয়েছে সেখানে। ওই অর্থ ব্যবহার করেই গোটা লেবাননকে নতুন করে গড়ে তোলা যায়।"
আল কার্দ আল হাসানের অন্যান্য ভবনে ইজরায়েল হামলা চালিয়েছে। তার মধ্যে একটি ভল্টে ১০ কোটি ডলার এবং সোনা ছিল বলে সূত্রের খবর। সেই বিপুল অর্থ ধ্বংস হয়েছে কিনা সেই নিয়ে তেল আভিভের তরফে কিছু জানানো হয়নি। হেজবোল্লার গুপ্তধনের সন্ধান পাওয়ার পরে ইজরায়েল হামলার নীল নকশা কেমন হবে? উঠছে প্রশ্ন।