সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নারীশক্তির নতুন ইতিহাস জাপানে। প্রথম মহিলা হিসাবে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন সানাই তাকাইচি। মঙ্গলবার জাপান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন পেয়েছেন তিনি। জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে জাপানের দায়িত্ব সামলাবেন সানাই। জাপানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরে সানাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।
গত তিনমাস ধরে জাপানের রাজনীতিতে ডামাডোল চলেছে। জুলাই মাসের নির্বাচনে পরাস্ত হয়েছে তাকাইচির লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। তবে অন্যান্য দক্ষিণপন্থী দলগুলির সঙ্গে জোট বেঁধে ফের ক্ষমতায় এসেছে এলডিপি। এহেন পরিস্থিতিতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন শিগেরু ইশিবা। তারপরেই নিম্নকক্ষে নির্বাচিত হন সানাই, জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে। প্রয়াত শিনজো আবের মতোই রক্ষণশীল মানসিকতা রয়েছে সানাইয়ের, এমনটাই বলে জাপানের রাজনৈতিক মহল।
১০৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন সানাই। প্রথমবার মহিলা প্রধানমন্ত্রী পাবে জাপান। 'বন্ধু' জাপানের নতুন রাষ্ট্রপ্রধানকে এক্স হ্যান্ডেলে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাপানি হরফে তিনি লেখেন, 'জাপানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় সানাই তাকাইচিকে অনেক অভিনন্দন। আগামী দিনে ভারত-জাপানের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে আপনার সঙ্গে কাজ করতে চাই। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, স্থিতাবস্থা এবং উন্নতির জন্য ভারত-জাপানের গভীর সম্পর্ক খুবই জরুরি।'
জীবনের শুরুতে সাংবাদিক ছিলেন সানাই। রাজনৈতিক জীবনে কট্টর দক্ষিণপন্থী হিসাবেই পরিচিত তিনি। সমলিঙ্গ বিয়ের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। দম্পতিদের আলাদা পদবি রাখার প্রস্তাবও নাকচ করে দিয়েছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রে তাইওয়ানের 'স্বাধীনতার' পক্ষে সওয়াল করেছেন। প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারকে নিজের আদর্শ বলে একাধিকবার জানিয়েছেন সানাই। তবে জাপানের 'আয়রন লেডি'কে শিনজো আবের উত্তরসূরি হিসাবেই মনে করে ওয়াকিবহাল মহল।
