সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রত্যেক বছর ভারতীয়দের দীপাবলির শুভেচ্ছা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ধুমধাম করে আলোর উৎসব উদযাপন হয় হোয়াইট হাউসে। এবছরও তার অন্যথা হয়নি। আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠেছে প্রেসিডেন্টের বাসভবন। আয়োজন করা হয় মেগা দিওয়ালি সেলিব্রেশনের। আর এখানেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, আসন্ন নির্বাচনের কথা মাথায় ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের ভোট টানতেই কি এতো ধুমধাম? দীপাবলিকে ব্যবহার করছেন বাইডেন ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস?
এবার 'রেস টু হোয়াইট হাউস'-এ শামিল ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস। ৫ নভেম্বর মার্কিন মুলুকে ভোটের দিন হলেও, ৪৭টি রাজ্যে অনেক আগেই ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গিয়েছে। একে বলে ‘আর্লি ভোট’। লক্ষ লক্ষ মানুষের ভোটদান হয়ে যাওয়ার পরে যে সর্বশেষ জনমত সমীক্ষা প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে একেবারে কাঁটায়-কাঁটায় টক্কর চলছে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলার মধ্যে। এই ভোটযুদ্ধের মধ্যেই দুদিন আগে হোয়াইট হাউসে পালিত হয়েছে দীপাবলি। সস্ত্রীক প্রদীপ জ্বালিয়ে আলোর উৎসবে মেতে ওঠেন বাইডেন। প্রেসিডেন্ট হিসাবে বাসভবনে এটাই তাঁর শেষ দিওয়ালি।
জানা গিয়েছে, বাইডেনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন অন্তত ৬০০ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ছিলেন মার্কিন আইন প্রণেতারাও। দীপাবলি উদযাপনে পরিবেশন করা হয় ভারতীয় সঙ্গীত। এখানেই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলার ভূয়সী প্রশংসা করেন বাইডেন। পাশাপাশি ভারত থেকে যাওয়া মানুষজন যাঁরা মার্কিন প্রশাসনে রয়েছেন তাঁদের অবদানও তুলে ধরেন। বাইডেন বলেন, "প্রেসিডেন্ট হিসাবে আমি হোয়াইট হাউসে সবচেয়ে বড় দীপাবলি উৎসবে যোগ দিতে পেরে সম্মানিত। এটা আমার কাছে খুব বড় বিষয়।”
বিশ্লেষকদের মতে, আসন্ন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এবছর সবচেয়ে দীপাবলি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আমেরিকার একাধিক প্রদেশে নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বা প্রবাসীরা। অন্যদিকে কমলাও ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তাই এই আবেগকেই কাজে লাগাতে চাইছে ডেমোক্র্যাটরা। প্রসঙ্গত, বহু বছর ধরেই হোয়াইট হাউসে দীপাবলি পালিত হয়। জর্জ বুশ, বিল ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পও প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন এই উৎসব উদযাপন করেছিলেন।
উল্লেখ্য, আর এক সপ্তাহও বাকি নেই মার্কিন নির্বাচনের। এহেন পরিস্থিতিতে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলাকে বিপাকে ফেলেছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেন। রিপাবলিকান সমর্থকদের ‘গারবেজ’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি। তার পর থেকেই তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে আমেরিকাজুড়ে। নির্বাচনী প্রচার সারতে গিয়ে ‘গারবেজ’ মন্তব্য ঘিরে তীক্ষ্ণ প্রশ্নবাণের মুখে পড়তে হচ্ছে কমলাকেও।