সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খলিস্তানিপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকে কেন্দ্র করে কানাডা-ভারত সম্পর্ক তলানিতে। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হলেও ভারতীয় সংস্কৃতি দিওয়ালি উদযাপনে বিন্দুমাত্র কসুর করলেন না কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এভাবে হইচই করে ট্রুডোর দীপাবলি উদযাপনকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন না বিশ্লেষকরা।
রবিবার নিজেই সমাজমাধ্যমে দিওয়ালি উদযাপনের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি, ভিডিও পোস্ট করেন ট্রুডো। যা ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। পাশাপাশি এক্স হ্যান্ডলের পোস্টে সকলকে দীপাবলির শুভেচ্ছাও জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী। এখানেই ভারতীয় সংস্কৃতির উদযাপন শেষ হয়নি। তাঁর হাতে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন রঙের সুতো। কানাডার প্রধানমন্ত্রী নিজেই জানান, গত কয়েক মাসে তিনটি ভিন্ন মন্দির দর্শনে গিয়েছিলেন তিনি, সেখান থেকেই ওই সুতোগুলো পেয়েছেন। ট্রুডোর বক্তব্য, যে কোনও ধরনের হুমকি থেকে এই সুতো তাঁকে সুরক্ষা দেবে। এইসঙ্গে দেশের ইন্দো-কানাডিয়ান সম্প্রদায়ের নাগরিকদের দিওয়ালির শুভেচ্ছা জানান ট্রুডো।
উল্লেখ্য, খলিস্তানিপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার পর থেকেই ভারত এবং কানাডার মধ্যে দড়ি টানাটানি চলছে। এর মধ্যেই মার্কিন দৈনিক ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নির্দেশেই নিজ্জরকে হত্যা করা হয়েছিল। এই সংবাদ প্রকাশ্যে আসামাত্র নতুন করে শোরগোল শুরু হয়েছে। শাহের বিরুদ্ধে কানাডার মন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত কানাডার দূতাবাসের এক কূটনীতিককে তলব করেছিল ভারত। এমন কূটনৈতিক উষ্ণতার আবহেই ইন্দো-কানাডিয়ান সম্প্রদায়ের মানুষকে ট্রুডোর দিওয়ালির শুভেচ্ছা জানানো তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।