সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইন্দো-কানাডিয়ান হিন্দুরা কানাডার (Canada) নীতি ও সংবিধানের প্রতি আনুগত্য দেখায় না। তাই দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত তাদের। একটি ভিডিও রেকর্ড করে হিন্দুদের হুমকি দিলেন খলিস্তানি জঙ্গি (Khalistani Terrorist) নেতা গুরপৎবন্ত সিং পান্নুন। নিষিদ্ধ সংগঠন শিখস ফর জাস্টিস সংস্থার অন্যতম প্রধান নেতা তিনি। খলিস্তানি জঙ্গি নেতা খুনের ঘটনায় তলানিতে এসে ঠেকেছে ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই প্রকাশ্যে এল এই জঙ্গির নতুন ভিডিও। দুই দেশের সম্পর্কে এই ভিডিও আরও বেশি প্রভাব পড়বে বলেই বিশেষজ্ঞদের অনুমান।
সম্প্রতি প্রকাশ্য এসেছে পান্নুনের একটি বিতর্কিত ভিডিও। সেখানে ওই জঙ্গি নেতা বলেছেন, “ইন্দো-কানাডিয়ান হিন্দুরা আসলে কানাডার নীতি ও সংবিধান মানতে চায় না। ওদের আসল জায়গা হল ভারত। তাই কানাডা ছেড়ে বেরিয়ে যাক হিন্দুরা।” প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই একটি সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর-সহ অন্যান্য নেতাদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এই খলিস্তানি জঙ্গির বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: সংবিধান থেকে উধাও ‘সেকুলার’ ও ‘সোশালিস্ট’, কেন্দ্রের বিরোধিতায় সরব কংগ্রেস]
তবে হিন্দুদের আক্রমণের পাশাপাশি খলিস্তানপন্থী শিখদের ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন পান্নুন। ওই ভিডিওতেই তিনি বলেন, “যে সমস্ত শিখরা খলিস্তানি মনোভাব পোষণ করেন, তাঁরা সবসময় কানাডার প্রতি অনুগত রয়েছেন। সবসময় দেশের পাশে দাঁড়িয়ে সংবিধান ও নিয়ম পালন করেছেন তাঁরা।” সেই সঙ্গেই আগামী মাসে একটি গণভোটের ডাক দিয়েছেন এই খলিস্তানি নেতা। তাঁর দাবি, আগামী ২৯ অক্টোবর ভ্যাঙ্কুভারের ভারতীয় হাই কমিশনারের বিরুদ্ধে ভোট দিতে হবে। হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনে এই কমিশনারের হাত ছিল কিনা, সেই নিয়ে ভোটদানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কানাডার শিখদের।
প্রসঙ্গত, হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যা প্রসঙ্গে খলিস্তানিদের (Khalistan) দাবিতে সায় দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। সেদেশের খলিস্তানিদের অভিযোগে কার্যত সিলমোহর দিয়ে কানাডায় (Canada) নিযুক্ত এক উচ্চপদস্থ ভারতীয় কূটনীতিককে নির্বাসিত করেছে ট্রুডোর মন্ত্রীসভা। সোমবারই ট্রুডো জানিয়েছিলেন, কানাডার নাগরিক খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের নেপথ্যে ভারতীয়দের (India) হাত থাকতে পারে বলেই তদন্তকারীদের অনুমান। এর পরেই কানাডার সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সংঘাত চরমে উঠেছে। তার মধ্যেই প্রকাশ্যে এই বিতর্কিত ভিডিও।