সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত সপ্তাহেই বিয়ে সেরেছেন মালালা ইউসুফজাই (Malala Yousafzai)। নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী পাকিস্তানি (Pakistan) কন্যার সঙ্গে বিয়ে হয়েছে পাক ক্রিকেট বোর্ডকর্তা অসর মালিকের। নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই খবর দিয়েছিলেন মালালা। আর তারপর থেকেই বিতর্ক ঘনিয়েছে এর আগে করা মালালার একটি মন্তব্যকে ঘিরে। বিয়ের প্রয়োজনীয়তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। এহেন মন্তব্যের কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি নিজেই বিয়ে করায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠেছে, বিয়ের বিরোধিতা করেও তিনি নিজে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলেন কেন।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল বিষয়ক বিখ্যাত ‘ভোগ’ (Vogue) পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিয়ে প্রসঙ্গে মালালা যা বলেছিলেন, তা নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। এমনকী, কেউ কেউ সেই মতকে ‘ইসলাম-বিরোধী’ বলেও আক্রমণ শানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন. ‘‘আমি একটা ব্যাপার বুঝতে পারি না, কেন সবাই বিয়ে করে। জীবনসাথীকে বেছে নিতে হলে কাগজে সই করার কী দরকার? এটা একটা পার্টনারশিপও তো হতে পারে।’’ মালালার এহেন মন্তব্যে তোলপাড় হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া।
[আরও পড়ুন: মেলবোর্নে গান্ধীমূর্তির ‘গলা কাটা’র চেষ্টা দুষ্কৃতীদের, তীব্র নিন্দা অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রীর]
জুনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি যা বলেছিলেন, নিজে কী করে তার বিপরীত পথে হাঁটলেন? এহেন প্রশ্নের উত্তরে অবশেষে মুখ খুললেন মালালা। ‘বিবিসি’কে এসম্পর্কে বলতে গিয়ে মালালা জানিয়েছেন, তিনি একথা বলেছিলেন সারা বিশ্বের অসংখ্য মহিলাদের জন্য উদ্বিগ্ন হয়েই। এবং সেই উদ্বেগ যে অকারণে নয় সেকথা বলতে গিয়ে মালালা জানান, ”বিশ্বজুড়ে নাবালিকাদের বিয়ে ও বিবাহ বিচ্ছেদের খবর মিলছে। যা ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতারই পরিচয়।” তবে তিনি এও জানান, তিনি ভাগ্যবান যে এমন একজনকে পেয়েছেন জীবনসঙ্গী হিসেবে, যিনি তাঁর সমস্ত মতামতকে গুরুত্ব দেন।
গত সপ্তাহেই মালালা টুইট করে সকলকে নিজের বিয়ের খবর দেন। বিয়ের ছবি শেয়ার করে মালালা লেখেন, ‘‘আজ আমার জীবনের একটি মূল্যবান দিন। অসর এবং আমি আজীবনের সঙ্গী হতে গাঁটছড়া বাঁধলাম। আমরা বার্মিংহামের বাড়িতে ছোটখাটো এক বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিবারের সঙ্গে এই মুহূর্তটি উদযাপন করলাম। আপনারা আমাদের জন্য প্রার্থনা করবেন। আগামীর যাত্রা একসঙ্গে শুরু করতে পেরে আমরা উত্তেজিত।”
[আরও পড়ুন: আমেরিকাকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ চিন! দাবি সমীক্ষায়]
২০১২ সালে প্রথমবার গোটা বিশ্ব মালালার নাম জেনেছিল। সেই সময় ১৪ বছর বয়স ছিল তাঁর। স্কুল থেকে ফেরার পথে তালিবানের গুলি খেতে হয়েছিল তাঁকে। সেই ঘটনায় শিউরে উঠেছিল বিশ্ব। লড়াকু নারী হিসেবে সেই থেকে অনেকেরই অনুপ্রেরণা মালালা।