shono
Advertisement
Mamata London

শিল্প বৈঠকের পর লন্ডনে মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ ডোনার

'জয় হিন্দ, জয় বাংলা' স্লোগান দিয়ে বক্তব্য শেষ করলেন তিনি। 
Published By: Paramita PaulPosted: 07:17 PM Mar 25, 2025Updated: 11:41 PM Mar 25, 2025

বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী! লগ্নিতে ব্রিটেন-বাংলার সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে শিল্প সম্মেলনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গী রাজ্যের আমলা ও বাংলার শিল্প প্রতিনিধিরা। উদ্দেশ্য একটাই, বাংলায় লগ্নি আনা এবং এ রাজ্যের জন্য ব্রিটেনের বাজার উন্মুক্ত করা। গ্রাউন্ড জিরো থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খ খবরে মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী কুণাল ঘোষ এবং কিংশুক প্রামাণিক।

Advertisement

রাত ১০.০৫: ব্যাঙ্কিং, প্রযুক্তি, কনসাল্টিং, শিক্ষা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের কমপক্ষে ১৫০ জন প্রতিনিধি যোগ দিয়েছেন। সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 
রাত ১০:
শিল্প বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের। বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় তাঁদের।  
রাত ৯.১৮:
"বহুদিন দীর্ঘদিন ভারত শাসন করেছেন। দীর্ঘদিন বাংলা শাসন করেছেন। ভুলবেন না। আমরা আপনাদের ভুলিনি। আপনাদের আর্কিটেকচার দুর্দান্ত।" বললেন মুখ্যমন্ত্রী। 'জয় হিন্দ, জয় বাংলা' স্লোগান দিয়ে বক্তব্য শেষ করলেন তিনি। 

রাত ৯.১৩: "ভালো ইংরেজি জানি না। ভালো স্কুলে পড়িনি। তাই প্রতিনিধিদের পাঠাচ্ছি শিখতে।" বললেন মমতা।  

রাত ৯.০৬: জমি নিয় কোনও সমস্যা হবে না, বিনিয়োগকারীদের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। 

রাত ৯.০৪: লন্ডনের সব রাস্তা চিনি। পায়ে হেঁটে ঘুরে বেরাই: মমতা। 

রাত ৯.০০: কন্যাশ্রী থেকে শিক্ষাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী থেকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, একের পর এক সামাজিক প্রকল্পের কথা তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী। 

রাত ৮.৫৮: শিল্প সম্মেলনের মঞ্চেও ধর্মীয় সম্প্রীতির বার্তা মমতার। 

রাত ৮.৫৭: ওয়েবসাইটে ক্লিক করলেই দক্ষ শ্রমিকদের খোঁজ মিলবে। বিনিয়োগকারী বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর।

রাত ৮.৫৫: বাংলা সমস্ত জৌলুস হারিয়েছে পূর্বতন সরকারের জন্য। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।  

রাত ৮.৫৫: বিলেতেও মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ফ্রেইট করিডোর, দেউচা পাচামির কথা। বাংলায় বেকারত্ব কমেছে। সবক্ষেত্রেই আমরা এক নম্বর, দাবি করলেন মমতা। 

রাত ৮.৫৪: বাংলায় ১৯ লক্ষ কোটির বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। এর মধ্যে ১৩ লক্ষ কোটি বিনিয়োগ বাস্তব হয়েছে। খতিয়ান মমতার।

রাত ৮.৫২: "বাংলা প্রচুর সমাজ কল্যাণ প্রকল্প চালায়। করোনার পর সবাই ধাক্কা খেয়েছে। করোনার পর এত প্রকল্প চালান কম কথা নয়। তবু আমরা চালাচ্ছি।" বললেন মমতা।

রাত ৮.৪৪: ফের কলকাতা-লন্ডন সরাসরি বিমান পরিষেবার আরজি মুখ্যমন্ত্রীর। জানালেন, "আগে এই বিমান পরিষেবা ছিল। আমরা ক্ষমতায় আসার আগে বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু কেন জানি না। তবে এখন বিমানের সমস্ত আসন ভর্তি থাকে। এই পরিষেবা চালু করলে আপনাদের ব্যবসা বাড়বে। আমরা জ্বালানিতে ছাড় দিয়ে। যারা প্রথম এগিয়ে আসবে তাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে। আপনারা আসুন আপনাদের অভ্যর্থনা জানাব।"

রাত ৮.৪২: "হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীকে ধন্যবাদ। আলোচনার সুযোগ করে দিয়েছেন। খুব সুন্দর ব্যবস্থাপনা", বললেন মুখ্যমন্ত্রী। 

রাত ৮.৪১: বিলেতে মমতার মুখে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল-মহামেডানের কথা। 

রাত ৮.৩৯: বক্তব্য রাখতে শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা-ব্রিটেনের আবেগপ্রবণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের, বললেন তিনি। 

রাত ৮.৩৮: মুখ্যমন্ত্রীকে ম্যান সিটির জার্সি উপহার দেওয়া হল।

রাত ৮.৩৬: ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ও টেকনো ইন্ডিয়ার মধ্যে আজই মউ স্বাক্ষর। 

রাত ৮.৩৪: লন্ডন-কলকাতা সরাসরি বিমান চালুর প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রস্তাব নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে বলে জানাল ব্রিটিশ এয়ারওয়াজ। 

রাত ৮.৩২: ব্রিটেনের শিল্পমহলের কথায়, "যারা বাংলায় কাজ করে, বলছে তাদের অভিজ্ঞতাও ভালো।"

রাত ৮.২৫: টিটাগড় রেল সিস্টেমসের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যান্ড এমডি উমেশ চৌধুরী বলেন, "বাংলায় কারখানা করার সুবিধা অনেক। দক্ষ শ্রমিক রয়েছেন। খরচ কম। সরল সরকারি নীতি। মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নে সঙ্গী করছেন শিল্পমহলকে। দ্রুত সিদ্ধান্ত ও কাজ হয়।"

রাত ৮.২১: রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট তরুণ ঝুনঝুনওয়ালা বলেন, "রিলায়েন্স পুরোদমে বাংলায় আছে। থাকবে। বাংলার শিল্পে পুনর্জন্ম হয়েছে।"

রাত ৮.১৯: সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর সত্যম রায়চৌধুরী বলেন, "দ্রুত সিদ্ধান্ত, দ্রুত কাজ। দুটি বিশ্ববিদ্যালয় করতে গিয়ে দেখেছি এটা। বাংলায় প্রথম স্পোর্টস স্কুল হবে। আজ মউ স্বাক্ষর।"

রাত ৮.১৭:  প্যাটন ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঞ্জয় বুধিয়া বলেন, "স্ট্রাইক লকআউট নেই। ভাববেন না। আসুন। ওটা বেস্ট বেঙ্গল। বাম আমলের মতো শ্রমদিবস নষ্ট হয় না। তাই এ রাজ্যে কাজ করা পছন্দ করি।"

রাত ৮.১৫: আরপি-সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান শাশ্বত গোয়েঙ্কা বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী শিল্পে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। যে কোনও দরকারে পাওয়া যায়। দ্রুত সিদ্ধান্ত। এটা জরুরি। আমলা, প্রশাসনও ভালো। আসুন বাংলায়।"

রাত ৮.১২: লক্ষ্মী গ্রুপের এমডি  রুদ্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ব্রিটিশ রাজবাড়ি দার্জিলিং চা খান। চায়ের নানারকম কাজ হচ্ছে। বাংলায় আসুন। ব্রিটিশ-বাংলা ঐতিহাসিক যোগাযোগ মাথায় রেখে কাজ করুন।"

রাত ৮.০৫: কল্যাণীতে তিন কোটি বিনিয়োগের কথা জানালেন শিল্পপতি মেহুল মোহঙ্কা। তাঁর কথায়,"ওখানে শ্রমিক সমস্যা নেই। শ্রমদিবস নষ্ট হয় না।" প্রস্তাব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে বিষয়টি দেখে নিতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। 

রাত ৮.০০: বক্তব্য রাখছেন হর্ষবর্ধন নেওটিয়া। তাঁর কথায়, বাংলার সর্বত উন্নয়ন হয়েছে। 

সন্ধ্যা ৭.৫৪: এবার ধানসিঁড়ি ভেঞ্চারসের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান চন্দ্রমোহন ধানুকা বক্তব্য রাখছেন। বললেন, "এটা বাম আমলের বাংলা নয়। মমতা দিদির নতুন বাংলা। আসুন, দেখুন, আপনারাও ভালোবাসবেন। আমার কাছে সেরা বাংলা।"

সন্ধ্যা ৭.৪৫: ইউকেআইবিসি-র চেয়ারম্যান রিচার্ড হেল্ড বক্তব্য রাখছেন। তাঁর কথায়, দেশের তুলনায় বাংলার উন্নয়নের হার বেশি। ব্যবসার ডিজিটালাইজেশন, লালফিতের ফাঁস আলগা করে রাজ্যে শিল্পবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলেছেন। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রশংসা করলেন রিচার্ড হেল্ড। জানালেন, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। কৃত্রিম মেধা এবং সেমি কন্ডাক্টর শিল্পে বিনিয়োগে বিশেষ আগ্রহী ব্রিটিশ ব্যবসায়ীরা। ২০১৭ সালের স্মৃতি চারণা করে রিচার্ড জানান, ইডেনে বাংলা-ইংল্যান্ডের খেলা চলাকালীন তাঁকে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে তিনি আপ্লুত। তখন থেকেই সম্পর্ক মজবুত হয়েছে। 

সন্ধ্যা ৭.৩৭: এবার সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন লন্ডনে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। রাজ্যের শিল্পবান্ধব পরিবেশের প্রশংসা করে তাঁর কথায়, উত্তর পূর্ব ভারত, বাংলাদেশ ও নেপালের গেটওয়ে বাংলা। এ রাজ্যের দার্জিলিং চা বিশ্ব সেরা। এর আগে বাংলায় যা যা বাণিজ্য ও শিল্প হত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের  আমলে আরও নতুন শিল্প এসেছে সেখানে। মাটির উর্বরতার জন্য কৃষিক্ষেত্রে সবসময় এগিয়ে বাংলা। বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রশংসা করলেন তিনি। পাশাপাশি উঠে এল কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রশংসা পঞ্চমুখ তিনি। 

সন্ধ্যা ৭.৩৩: বাংলার শিল্প, সংস্কৃতি, উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, খেলা নিয়ে বিশেষ ভিডিও 'ধ্বনিল আহ্বান'। দেখানো হল বিলেতের শিল্প সম্মেলনে। 

সন্ধ্যা ৭.৩০: বক্তব্য রাখতে শুরু করলেন রাজ্য়ের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বললেন, বিনিয়োগের গন্তব্য বাংলা। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের হাব এ রাজ্য। 

সন্ধ্যা ৭.১৪: আর কিছুক্ষণের মধ্যে শুরু হতে চলেছে শিল্প সম্মেলন। এলেন ব্রিটেনের হাউস অফ লর্ডসের সদস্য তথা ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিল্পপতি ৯৪ বছর বয়সি লর্ড স্বরাজ পলও।

সন্ধ্যা ৭.০০: এদিনের বৈঠকে আছেন চন্দ্রমোহন ধানুকা (এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান, ধানসিঁড়ি ভেঞ্চারস), হর্ষবর্ধন আগরওয়াল (প্রেসিডেন্ট, ফিকি, ভাইস চেয়ারম্যান, ইমামি গ্রুপস), হর্ষবর্ধন নেওটিয়া (চেয়ারম্যান, অম্বুজা নেওটিয়া গ্রুপ), কে কে বাঙ্গুর (গ্রাফাইট ইন্ডিয়া), মেহুল মোহানকা (এমডি, টেগা ইন্ডাস্ট্রিজ), প্রশান্ত বাঙ্গুর (চেয়ারম্যান, ফিকি, WBSC, ভাইস চেয়ারম্যান, শ্রী সিমেন্টস), প্রশান্ত মোদি (ভাইস চেয়ারম্যান ও এমডি, GEECL), রুদ্র চট্টোপাধ্যায় (এমডি, লক্ষ্ণী গ্রুপ, চেয়ারম্যান, OBEETEE), সঞ্জয় বুধিয়া (ম্যানেজিং ডিরেক্টর, প্যাটন ইন্টারন্যাশনাল), সত্যম রায়চৌধুরী (চ্যান্সেলর, সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়), শাশ্বত গোয়েঙ্কা (ভাইস চেয়ারম্যান, আরপি-সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গ্রুপ), তরুণ ঝুনঝুনওয়ালা (প্রেসিডেন্ট, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ), উজ্জ্বল সিনহা (এমডি, জেনেসিস অ্যাডভারটাইজিং), উমেশ চৌধুরী (ভাইস চেয়ারম্যান অ্যান্ড এমডি, টিটাগড় রেল সিস্টেমস), জ্যোতি ভিজ (ডিরেক্টর জেনারেল, ফিকি) এবং মৌসুমী ঘোষ (ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল, ফিকি)। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • লগ্নিতে ব্রিটেন-বাংলার সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে শিল্প সম্মেলনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
  • সঙ্গী রাজ্যের আমলা ও বাংলার শিল্প প্রতিনিধিরা।
  • উদ্দেশ্য একটাই, বাংলায় লগ্নি আনা এবং এ রাজ্যের জন্য ব্রিটেনের বাজার উন্মুক্ত করা।
Advertisement