সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে হত্যা করে আমেরিকা দখল! এটাই নাকি ছিল তাঁর লক্ষ্য। আর তাই হোয়াইট হাউসের পাঁচিলে ভাড়া করা একটি ট্রাক নিয়ে ধাক্কা মারেন তিনি। ‘সাদা বাড়ি’ হামলায় এমনটাই চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি ১৯ বছরের ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভারসিত কান্দুলার।
বিশ্বের সবথেকে নিরাপদ জায়গাগুলির অন্যতম হোয়াইট হাউস। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবনটি কার্যত লৌহবর্মে ঢাকা। সিক্রেট সার্ভিসের চোখ এড়িয়ে সেখানে মাছিও গলতে পারে না। গত সোমবার এহেন হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা বলয়ে ঢুকে পড়ে একটি ট্রাক। জানা যায়, ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত পড়ুয়া ভারসিত কান্দুলা। দ্রুত ওই ট্রাকচালককে আটক করে প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিসের অফিসাররা। শুরু হয় জেরা। সিক্রেট সার্ভিসের দাবি, তদন্তকারীদের মিসৌরির বাসিন্দা কান্দুলা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে হত্যা করে আমেরিকার নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নেওয়াই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য।
[আরও পড়ুন: চার্লসের রাজ্যাভিষেকে নিষ্প্রদীপ, ‘দ্য বস’ মোদির সফরে তেরঙ্গায় উজ্জ্বল অপেরা হাউস]
মার্কিন পুলিশ জানিয়েছে, বিমানে চেপে মিসৌরি থেকে ওয়াশিংটন আসেন কান্দুলা। তারপর একটি ট্রাক ভাড়া করেন তিনি। তারপর, পরিকল্পনা মাফিক লাফায়েত পার্কের কাছে সিকিউরিটি ব্যারিকেডে ধাক্কা মেরে নাৎসি পতাকা দেখাতে শুরু করেন তিনি। কান্দুলা নাকি পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি হিটলারের ‘ভক্ত’। নাৎসিদের ইতিহাস ও আদবকায়দা তাঁর খুবই পছন্দের।
বলে রাখা ভাল, টুইন টাওয়ারে (Twin Tower) ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার পর আফগানিস্তানে যুদ্ধ শুরু করে আমেরিকা। কাবুল থেকে তালিবানকে উৎখাত করলেও লড়াই থেমে থাকেনি।বিশ্ব থেকে সন্ত্রাসবাদের শেকড় উপড়ে ফেলতে ‘গ্লোবাল জেহাদে’র বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে আমেরিকা। ফলে আল কায়দা থেকে শুরু করে ইসলামিক স্টেটের পছন্দের তালিকায় এক নম্বর টার্গেট হোয়াইট হাউস। মার্কিন প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্রে আঘাত যে ওয়াশিংটনের পক্ষে কত বড় ধাক্কা তা ভালই জানে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি।