সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকায় বর্ণবৈষম্যের মাত্রা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে জর্জ ফ্লয়েডের (George Floyd) মৃত্যু। ফলে প্রশ্ন ওঠারই ছিল। বুধবার মার্কিন সংবাদ সংস্থার সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) কৃষ্ণাঙ্গদের উপর পুলিশি অত্যাচার নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি অবশ্য সাফাই দিয়েছেন, ‘পুলিশের হাতে শ্বেতাঙ্গদেরই মৃত্যু হয় বেশি’
[আরও পড়ুন: কবে আসছে অক্সফোর্ডের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন? বৃহস্পতিবারই দিন ঘোষণার জল্পনা]
CBS News-এর অনুষ্ঠানে টপ্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “পুলিশের হাতে শ্বেতাঙ্গরাই বেশি মরেন। ফলে এমন প্রশ্ন করাই ভয়ানক। আমি অনেককেই দেখেছি তাঁরা কনফেডারেট পতাকা পছন্দ করেন, অথচ তাঁরা দাসত্ব মোটেই সমর্থন করেন না।” উল্লেখ্য, দাসপ্রথা উচ্ছেদ নিয়ে আমেরিকার উত্তর (Confederate) ও দক্ষিণের (Union) প্রদেশগুলির মধ্যে তুমুল গ্রহযুদ্ধ হয়। দাসত্বের শিকল কাটতে মার্কিনীদের মূল্য দিতে হয়েছে অনেক। তবে সে কথা আজ ইতিহাস। ওই প্রসঙ্গ টেনেই প্রেসিডেন্ট বোঝাতে চেয়েছেন যে আমেরিকা পালটেছে।
তবে ট্রাম্পের যুক্তি মানতে নারাজ অনেকেই। কারণ, ফ্লয়েডের হত্যা নিয়ে সে ভাবে কিছু বলতে শোনা যায়নি ট্রাম্পকে। বরং ‘শ্বেতাঙ্গই সেরা’ ভিডিও টুইট করে বিতর্ক উসকে দেন তিনি। যদিও চাপের মুখে সেই পোস্ট মুছে দেন তিনি। এদিকে, একটি প্রথম সারির মার্কিন দৈনিকের সদ্য সমাপ্ত সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, আমেরিকার জনসংখ্যার ১৩ শতাংশেরও কম কৃষ্ণাঙ্গ। কিন্তু পুলিশের হাতে তাঁদের মৃত্যুর ঘটনার হার শ্বেতাঙ্গদের দ্বিগুণ। ফলে প্রেসিডেন্টের যুক্তি যে ধোপে টিকছে না তা বলাই বাহুল্য।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মে মিনিয়াপোলিসের রাস্তায় পুলিশের হাঁটুর চাপে মারা যান কৃষ্ণাঙ্গ-মার্কিন নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড। তারপরই প্রতিবাদের আগুনে জ্বলে উঠে আমেরিকার প্রায় সবগুলি প্রদেশ। অনেক ক্ষত্রেই হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে হোয়াইট হাউসের গোপন বাঙ্কারে লুকোতে হয় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। এহেন সঙ্কটে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি’র সুরক্ষায় ন্যাশনাল গার্ডের পাশপাশি ফৌজ মোতায়েন করার নির্দেশ দেন ট্রাম্প। যদিও চাপে পড়ে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হয় তাঁকে।
[আরও পড়ুন: হামলা চালাতে পারে লালফৌজ! মহড়া শুরু করল রণংদেহী তাইওয়ানের সেনা]
The post পুলিশের হাতে শ্বেতাঙ্গদেরই মৃত্যু হয় বেশি, বর্ণবৈষম্যে নিয়ে সাফাই ট্রাম্পের appeared first on Sangbad Pratidin.