shono
Advertisement
Pakistan

সেনা বিদ্রোহের পথে পাকিস্তান! 'ইস্তফা দিন, নয়তো...', সেনাপ্রধানকে চিঠি ফৌজের

ব্যক্তিগত প্রতিশোধ তুলতে বাহিনীকে ব্যবহারের অভিযোগ সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে।
Published By: Kishore GhoshPosted: 10:01 AM Mar 27, 2025Updated: 10:18 AM Mar 27, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এবার আরেক প্রতিবেশী পাকিস্তানে সেনা বিদ্রোহের শঙ্কা। 'ইয়োর টাইম ইজ আপ'...সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের পদত্যাগ দাবি করে এই ভাষাতেই চিঠি পাঠালেন পাক সেনাবাহিনীর অফিসাররা। ইস্তফা না দিলে ফল ভুগতে হবে বলেও সরাসরি হুমকি দেওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে। হঠাৎ সেনাবাহিনীর অফিসার ও জওয়ানরা বিদ্রোহ করছেন কেন?

Advertisement

মুনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক দমন-পীড়নের হাতিয়ার করে তুলেছেন তিনি। ব্যক্তিগত প্রতিশোধ তুলতে বাহিনীকে ব্যবহার করছেন। মুনিরের নেতৃত্ব পাকিস্তানকে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ যুদ্ধের কলঙ্কিত হারের স্মৃতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ সেনা অফিসারদের। সম্প্রতি বালোচ লিবারেশন আর্মি যেভাবে বালুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক করে আর্মিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে, সেই ব্যর্থতার পিছনেও মুনিরের ভূমিকাকে দায়ী করেছে পাক সেনা।

চিঠিতে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, 'এটা কোনও আবেদন-নিবেদন নয়। এ হল আপনারই তৈরি '৭১। আমরা সেই ভয়ংকর সময়ের ছায়ার আড়ালে আমাদের কবর বানাতে দেবো না। মুনিরে বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বৈচিত্র রাখতে না দেওয়া, সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করা তথা দেশের গণতান্ত্রিক শক্তিকে ধ্বংস করার অভিযোগ আনা হয়েছে। ইমরান খানের মতো রাজনৈতিক নেতার দিনের পর দিন জেলবন্দি থাকার জন্যও মুনিরকে দায়ী করা হয়েছে। পাক সেনা অফিসার ও জওয়ানদের সাফ কথা, অবিলম্বে ইস্তফা দিন, নচেত ভুগতে হবে। 

উল্লেখ্য, পাক সেনাকর্তার অস্বস্তি বাড়িয়েছে দুই আমেরিকান জনপ্রতিনিধির আনা সাম্প্রতিক বিল। যেখানে তাঁরা আসিম মুনিরের কার্যকলাপের উপর নিষেধাজ্ঞার জারির দাবি জানিয়েছেন। মার্কিন জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য, বিরোধী দলের একাধিক নেতৃত্বকে অন্য়ায় ভাবে জেলবন্দি করে রাখছেন মুনির। এদেরই একজন ইমরান খান।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • মুনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক দমন-পীড়নের হাতিয়ার করে তুলেছেন তিনি।
  • পাক সেনাকর্তার অস্বস্তি বাড়িয়েছে দুই আমেরিকান জনপ্রতিনিধির আনা সাম্প্রতিক বিল।
Advertisement