সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহেই অধিকৃত কাশ্মীরে প্রাদেশিক নির্বাচন ঘোষণা করল পাকিস্তান (Pakistan)। আগামী ২৫ জুলাই ভোটগ্রহণের দিন ঘোষণা করেছে সে দেশের নির্বাচন কমিশন।
[আরও পড়ুন: মাত্র এক ভোটে পরাজয়, ইজরায়েলে বিদায় নেতানিয়াহুর, নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট]
করোনা মহামারীর জেরে অধিকৃত কাশ্মীরে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন অনেকেই। তবে তাতে কর্ণপাত না করেই ভোটগ্রহণে সবুজ সংকেত দিয়েছে ইসলামাবাদ। দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২১ জুন পর্যন্ত নমিনেশন জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। ৩ জুলাই প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। কোভিড পরিস্থিতি থাকা সত্ত্বেও গত বছরও গিলগিট-বাল্টিস্তানে প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ভারত তার সমালোচনাও করে। নয়াদিল্লি সাফ জানিয়েছিল দখলে থাকা অঞ্চলটির রাজনৈতিক স্বরূপ পরিবর্তনের চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না। পাশাপাশি, নয়াদিল্লি কড়া ভাষায় জানায়, কেন্দ্রশাসিত জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ ও গলগিট-বাল্টিস্তান ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। চলতি বছর ফের পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ক্ষেত্রেও একইভাবে পরিস্থিতি বিচার না করেই সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান।
উল্লেখ্য, গত বছর রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশনে গিলগিট ও বাল্টিস্তান-সহ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষের দুরবস্থা নিয়ে সরব হয়েছিলেন সেখানকার মানবাধিকার কর্মীরা। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ স্বাধীনতা পেতে মরিয়া বলে রাষ্ট্রসংঘে দাঁড়িয়ে জোর গলায় পাকিস্তানের সমালোচনা করেছিলেন সমাজকর্মী আমজাদ আয়ুব মির্জা। বিগত দিনে গিলগিট ও বাল্টিস্তানের মানুষদের লাগাতার বিক্ষোভ তাঁর সেই দাবিকে মান্যতা দিচ্ছে। দীর্ঘ কয়েকমাস ধরেই পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসীন ইমরান খানের সরকার ও সেদেশের সেনাবাহিনীর (Pakistan Army) অকথ্য অত্যাচারের প্রতিবাদে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছিল গিলগিট ও বাল্টিস্তান (Gilgit-Baltistan) -এর মানুষের মনে।স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বার্থরক্ষায় মুখ খোলার জন্য যে সমস্ত মানুষকে রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠল গিলগিট ও বাল্টিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকা।