সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝে মাত্র দু’দিন। অনলাইন তথ্যকোষ উইকিপিডিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিল পাকিস্তান। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নির্দেশেই এই অনলাইন প্লাটফর্মটির উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে খবর।
দিন দুই আগেই উইকিপিডিয়ার (Wikipedia) উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পাকিস্তান। অভিযোগ ছিল, এই অনলাইন তথ্যকোষটি সেদেশে ধর্মদ্রোহে ইন্ধন দিচ্ছে। উইকিপিডিয়াতে নাকি ধর্মবিরুদ্ধ লেখা দেখা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, ধর্মবিরুদ্ধ বিষয় নিয়ে লেখা প্রবন্ধ সরাতে হবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। উইকিপিডিয়াকে এমন নির্দেশই দিয়েছিল পাকিস্তান টেলিকমিুনিকেশন অথরিটি (PTA)। কিন্তু সেই হুঁশিয়ারির পরও পদক্ষেপ করা হয়নি। সেকারণেই ৪ ফেব্রুয়ারি অনলাইন প্লাটফর্মটি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: ‘মোদি ও আদানির মধ্যে কী সম্পর্ক?’ সংসদে প্রশ্ন তুলতেই রাহুলকে থামিয়ে দিলেন স্পিকার]
টুইটারে পিটিএ জানায়, “ধর্মদ্রোহ বিষয়ক প্রবন্ধ ব্লক করা অথবা মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল উইকিপিডিয়াকে (Wikipedia)। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি। শুধু তাই নয়, ইচ্ছাকৃত ভাবে পিটিএ-র নির্দেশকে অমান্য করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়ার পরেও নিন্দনীয় বিষয়গুলি সরানো হয়নি। সেই কারণেই দেশে উইকিপিডিয়াকে নিষিদ্ধ করা হল।” ধর্মদ্রোহ নিয়ে যাবতীয় লেখা উইকিপিডিয়া সরাচ্ছে কি না, কিংবা কতক্ষণে তাদের তরফে ইতিবাচক পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তা দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে তাদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলা হবে কি না। এমনটাই জানায় পিটিএ।
[আরও পড়ুন: ‘তুরস্কের ভূমিকম্প মনে করিয়ে দিচ্ছে ভুজের বিপর্যয়’, বিজেপির বৈঠকে আবেগপ্রবণ মোদি]
এই তথ্যগুলি খতিয়ে দেখার জন্য ৩ সদস্যের একটি কমিটি গড়েছিল পাক সরকার। সেই ৩ সদস্যের কমিটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরই পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shahbaz Sharif) উইকি আনব্লক করার নির্দেশ দেন। পাকিস্তানের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মারিয়ম ঔরঙ্গজেব (Marriyum Aurangzeb) জানিয়েছেন, পাক প্রধানমন্ত্রী দ্রুত উইকিপিডিয়ার পরিষেবা শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, এই ধরনের অনলাইন পোর্টালে কী দেখানো হবে, সেটা নির্ধারণ করার জন্য একটি কমিটি গড়েছেন তিনি। আসলে আর্থিক দিক থেকে এমনিতেই ব্যাকফুটে শরিফের পাক সরকার। এই পরিস্থিতিতে উইকিপিডিয়া নিয়ে নতুন ইস্যু তৈরি হোক, চাইছিল না পাকিস্তান সরকার। সেকারণেই এই সিদ্ধান্ত।