সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে (Afghanistan) ক্রমে জটিল হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। তালিবানের সঙ্গেই এবার আতঙ্কের আরও এক নাম হয়ে ওঠেছে ইসলামিক স্টেট (খোরাসান)। কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণে পর ৩১ আগস্টের মধ্যে সে দেশ থেকে নাগরিকদের বের করে আনতে মরিয়া আমেরিকা। এহেন পরিস্থিতিতে জল্পনা উসকে চিনের সেনাবাহিনীর অধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক সারলনে পেন্টাগনের এক শীর্ষ আধিকারিক।
[আরও পড়ুন: Afghanistan Crisis: তালিবানের হাতেই কাবুল বিমানবন্দর তুলে দিতে চলেছে আমেরিকা!]
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে জো বাইডেন বসার পর এই প্রথম লালফৌজের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসল পেন্টাগন। শুক্রবার এই বৈঠকের কথা নিশ্চিত করেন এক মার্কিন আধিকারিক। তিনি জানান, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বা লালফৌজের অন্যতম শীর্ষ আধিকারিক মেজর জেনারেল হুয়াং শুয়েপিংয়ের সঙ্গে ভারচুয়ালি বৈঠক করেন মার্কিন পেন্টাগনের আধিকারিক মাইকেল চেস। বৈঠকের মূল বিষয় ছিল ‘বিপজ্জনক পরিস্থিতি ও ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ’। সহজ কথায়, দুই সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাত এড়াতে ও যোগাযোগ মজবুত করতে বৈঠকে বসেন চিনা সেন ও মার্কিন ফৌজের আধিকারিকরা।
বিশ্লেষকদের মতে, তাইওয়ান, দক্ষিণ চিন সাগর, সাইবার হামলা ও বাণিজ্য ভিত্তিক ইস্যু-সহ নানা ক্ষেত্রে ক্রমে ‘কলিশন কোর্স’ বা সংঘাতের পথে এগিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা (America) ও চিন। এহেন পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা হলে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আমেরিকার কাছে এখন চিনই হচ্ছে সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে ইরাক ও আফগানিস্তানের পর ফের একটা নতুন ফ্রন্ট খুলতে নারাজ তিনি। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, আফগানিস্তানে তালিবানের উত্থান নিয়েও বেজিংয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়ে থাকতে পারে ওয়াশিংটনের। কারণ বিগত দিনে তালিব নেতাদের উপর শি জিনপিং প্রশাসনের প্রভাব চোখে পড়ার মতো।
গত জুলাই মাসেই উত্তর চিনের তিয়ানজিন শহরে তালিবানের প্রধান মধ্যস্থতাকারী আবদুল ঘানি বারাদার ও মুখপাত্র সুহেল শাহিনের নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। বলে রাখা ভাল, তালিবানের রাজনৈতিক শাখার প্রধান হচ্ছে আবদুল ঘানি বরাদর। আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় মুখ্য ভূমিকা ছিল তার। ফলে তালিবানকে কিছুটা বাগে রাখতে চিন ও আমেরিকার মধ্যে গোপনে বোঝাপড়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।