সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভুটানের (Bhutan) মসনদে ভারতের ‘বন্ধু’ শেরিং তোবগে। নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরই তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকের অনুমান ছিল, নির্বাচনে কলকাঠি নেড়ে চিনপন্থী নেতাদের ভুটানের ক্ষমতায় বসাতে পারে বেজিং। যেভাবে কয়েকমাস আগে মালদ্বীপে ক্ষমতায় এসেছিলেন চিনপন্থী মহম্মদ মুইজু। তবে সমস্ত আশঙ্কা নস্যাৎ করে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তোবগের দল। ৫ বছর পরে ফের প্রধানমন্ত্রী হলেন শেরিং।
ভুটানের সংসদীয় নির্বাচনটি দুই ধাপে আয়োজিত হয়। প্রথম ধাপ থেকেই অনেকখানি এগিয়ে ছিল শেরিংয়ের দল পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি)। অন্যদিকে, প্রথম রাউন্ডেই লড়াই থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন গত পাঁচ বছরের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ও তাঁর দল ড্রুক নামরুপ শোগপা। চূড়ান্ত লড়াইয়ের জন্য নির্বাচিত হয় পিডিপি ও ভুটান টেন্ড্রেল পার্টি। উল্লেখ্য, ভুটানের রাজনীতিতে সদ্যই পা রেখেছে এই ভুটান টেন্ড্রেল পার্টি। চূড়ান্ত নির্বাচনে ৪৭টির মধ্যে ৩০টি আসন গিয়েছে শেরিংয়ের দলের দখলে। দেশের প্রধান বিরোধী দল হয়েছে ভুটান টেন্ড্রল পার্টি।
[আরও পড়ুন: ‘পান্নুন খুনের চেষ্টা’য় গ্রেপ্তার ভারতীয় যুবকের বিরুদ্ধে প্রমাণ চাইল মার্কিন আদালত]
ভুটানে নিজের ‘বন্ধু’র জয়ের খবরে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইটে শেরিংকে ট্যাগ করে তিনি জানান, “ভুটানের সাধারণ নির্বাচনে জয়ের জন্য আমার বন্ধু শেরিং তোবগে ও তাঁর দলকে অনেক অভিনন্দন। আগামী দিনে দুই দেশ আবারও একসঙ্গে কাজ করবে, এমনটাই আশা করি। আমাদের বন্ধুত্ব আর সহযোগিতা আরও শক্তিশালী হবে।” উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ২০১৮ সালে ভারত সফরে এসেছিলেন শেরিং। সেই সময়ে দেখা করেছিলেন মোদির সঙ্গেও।
প্রসঙ্গত, ডোকালাম সীমান্তে ভারতের সঙ্গে সংঘাতের আবহে সাময়িকভাবে পিছু হটেছিল চিন। কিন্তু ভুটান সীমান্তে লাগাতার চাপ বাড়িয়ে চলেছে লাল ফৌজ। এহেন পরিস্থিতিতে ভুটানের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা বেশ গুরুত্বপূর্ণ নয়াদিল্লির পক্ষে। তাই ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর জয়ে চওড়া হবে ভারতের হাসি।