সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরএসএসের শিকড় বেয়েই আজ বিজেপি নামের বিরাট বৃক্ষের চূড়ায় পৌঁছেছেন, হয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। নিজের জীবনে সংঘের প্রভাব কখনই অস্বীকার করেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে তাঁরও আগে মোদির জীবনের পথপ্রদর্শক ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। রবিবার মার্কিন পডকাস্টার 'লেক্স ফ্রিডমান'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সে অতীত তুলে ধরলেন নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি ২০০২ সালে গুজরাটের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ভয়াবহ গোধরা দাঙ্গা নিয়েও মুখ খুললেন তিনি।
পাশাপাশি আরএসএস প্রসঙ্গে বলেন, "স্বামীজি যেমন আমার জীবন গড়ে দিয়েছেন অন্যদিকে জীবনের উদ্দেশ্য আমাকে দিয়েছে সংঘ। আরএসএস-এর মতো মহান সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারা আমার জীবনের সৌভাগ্য। এখানে আমি শিখেছি নিঃস্বার্থ সেবার মূল্য কী? বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংগঠন আরএসএস আজ নিঃস্বার্থভাবে মানুষের সেবা করে চলেছে। আজ গোটা বিশ্বে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সংঘ হাত বাড়িয়েছে।" একইসঙ্গে সংঘের শ্রমিক সংগঠন ও আরএসএসের শ্রমিক সংগঠনের ফারাক ব্যাখ্যা করে মোদি বলেন, "বাম শ্রমিক সংগঠনের নীতি হল দুনিয়ার শ্রমিক এক হও, অন্যদিকে সংঘের শ্রমিক সংগঠন বলে, 'শ্রমিকরা গোটা বিশ্বকে এক করো'। যা রাষ্ট্রের সেবাকে সবার আগে রাখে।''
পাশাপাশি গোধরা প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলেন, "২০২১ সালের ৭ অক্টোবর আমি গুজরাটের প্রধানমন্ত্রী হই। তার আগে রাজ্যে বড় ভূমিকম্প হয়ে গিয়েছে। ১২ থেকে ১৫ মাস আগে একের পর এক জঙ্গি হামলা ঘটেছে। ২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে হামলা, জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভায় হামলা, সংসদে হামলার মতো ঘটনা ঘটেছে। এই অস্থির পরিস্থিতির মাঝেই ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশের সময় গোধরা ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পাই। যেখানে সাধারণ মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। তার আগে রাজ্যে ২৫০টির বেশি দাঙ্গা হয়ে গেছে। অথচ এই সবের পর বিরোধীদল আমাদেরই কাঠগড়ায় তোলে। সবচেয়ে বড় কথা ২০০২ সালের পর রাজ্যে আর কোনও বড় ঘটনা ঘটেনি।''