সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেটে গিয়েছে ২৭ বছর। পুরুলিয়া অস্ত্রবর্ষণ মামলায় মূল অভিযুক্ত কিম ডেভিকে (Kim Davy) এখনও ফেরানো যায়নি দেশে। মঙ্গলবারই ডেনমার্ক (Denmark) গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শোনা যাচ্ছে, সেদেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কিমের প্রত্যর্পণের বিষয়ে। তেমনটাই দাবি সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের। যদিও এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে সরকারি ভাবে কিছুই জানানো হয়নি।
বিদেশমন্ত্রকও জানায়নি ঠিক কবে ফেরানো হতে পারে কিমকে। কিন্তু মোদির সফর ঘিরে ফের নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা। এবার কি দ্রুত হবে পুরুলিয়া অস্ত্রবর্ষণের মূল অভিযুক্তকে ফেরানোর প্রক্রিয়া? সূত্র যাই বলুক, সামনাসামনি অবশ্য কেন্দ্র এই নিয়ে কিছু বলতে অনিচ্ছুক। বিদেশ সচিব বিনয় কাতরা এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এই প্রসঙ্গে বলেন, ”পুরুলিয়া অস্ত্রবর্ষণের মূল অভিযুক্তের বিষয়টি নিয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলছে দুই দেশের মধ্যে। তাই আমার পক্ষে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা উচিত হবে না।”
[আরও পড়ুন: হিজাব পরিহিতা ছাত্রীদের সরকারি ট্যাবলেট দিল না কলেজ! বিতর্কে যোগীরাজ্য]
উল্লেখ্য, মোদির এবারের ডেনমার্ক সফরকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রায় দুই দশক পরে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী সেদেশে গিয়েছেন। এর পিছনেও রয়েছে পুরুলিয়া অস্ত্রবর্ষণ মামলাই। ২০১২ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ডেনমার্কের কূটনৈতিক সম্পর্কে অবনতি হয়। ভারতে কিমকে ফেরানোর সুপ্রিম কোর্টের আরজি সেই সময় ডেনমার্ক মানেনি। তাই প্রতিবাদস্বরূপ এই সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। এরপর এক দশক কেটে গেলেও এখনও কিমকে ভারতে এনে ওই মামলার বিচার শুরু করা যায়নি।
গত বছর ভারতে এসেছিলেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডরিকসন। তাঁর তিন দিনের ভারত সফরেও উঠে এসেছিল এই বিষয়টি। কিন্তু সমস্যার জট কাটেনি। মোদির সফর ঘিরে তাই প্রত্যাশা বাড়ছে। এবার হয়তো কিমকে ফেরানোর প্রক্রিয়ার একটা দিশা দেখা যেতে পারে।
এবছরের শুরুতেই অবশ্য বরফ গলার ইঙ্গিত মিলেছে। সেই সময় কিছু শর্ত আরোপ করে কিম ডেভির প্রত্যর্পণের বিষয়ে সম্মত হয়েছিল ডেনমার্ক। এমনকী গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় এসে এখানকার ব্যাংকশাল আদালতের বিচারকক্ষ ও সংশোধনাগারের পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসেছিলেন ডেনমার্কের প্রতিনিধি দল। এখন দেখার, মোদির সফরের পরে কোনও ইঙ্গিত মেলে কিনা।
১৯৯৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাতে পুরুলিয়ার আকাশে অ্যান্তোনভ-২৬ বিমান থেকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের কার্যত বৃষ্টি হয়েছিল। লাইট মেশিনগান, একে-৪৭-এর মতো নানা ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র মিলেছিল মাটিতে।