shono
Advertisement

ক্যাপিটল হিংসা, কৃষ্ণাঙ্গ বিদ্বেষ নিয়ে বাইডেনকে খোঁচা পুতিনের

বহু প্রতীক্ষিত বাইডেন-পুতিন বৈঠকের পরও কাটল না মেঘ।
Posted: 02:29 PM Jun 18, 2021Updated: 04:01 PM Jun 18, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বহু প্রতীক্ষিত বাইডেন-পুতিন বৈঠকের পরও কাটল না মেঘ। এবারও কার্যত ‘কলিশন কোর্স’ বা সংঘাতের দিকে এগোচ্ছে আমেরিকা ও রাশিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের পালটা এবার ক্যাপিটল হিংসা ও কৃষ্ণাঙ্গ বিদ্বেষ নিয়ে খোঁচা দিলেন রুশ রাষ্ট্রনায়ক ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বাইডেন-পুতিন, কূটনৈতিক সৌজন্যের মাঝেও মিলল উত্তেজনার আভাস]

বুধবার সুইজারল্যান্ডে লেক জেনেভার পাশে একটি শতাব্দী প্রাচীন ভিলায় আলোচনায় বসেন বিশ্বের অন্যতম দুই শক্তিশালী দেশের প্রধান। একাধিক বিষয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। পুতিনকে নিজের প্রিয় ব্র্যান্ডের রোদচশমাও উপহার দেন বাইডেন। কিন্তু এতকিছুর পরও সম্পর্ক উষ্ণ হয়ে ওঠেনি দুই দেশের মধ্যে। জানা যায়, বৈঠকে রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির (Alexei Navalny) গ্রেপ্তারি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে পুতিনকে খোঁচাও দেন বাইডেন। তারপরই ক্যাপিটল হিংসা ও কৃষ্ণাঙ্গ বিদ্বেষ নিয়ে বাইডেনকে পালটা খোঁচা দেন পুতিন। তাঁর কথায় শ্বেতাঙ্গ পুলিশকর্মীর হাতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রসঙ্গও উঠে আসে। পুতিন বলেন, “কে কাকে হত্যা করছে বা জেলে পুড়ছে তা সবার জানা। গত কয়েক মাসে আমেরিকায় নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। আমি আমেরিকার মানুষের সঙ্গে সহমর্মী। আমরা কখনও চাইব না আমাদের দেশেও এই ধরনের (বর্ণবিদ্বেষী) কোনও ঘটনা ঘটুক। আবার অন্য দিকে, ক্যাপিটলে প্রায় ৪০০ জন মানুষ রাজনৈতিক দাবিদাওয়া নিয়ে জড়ো হয়েছিলেন। তাঁদের অনৈতিক ভাবে গ্রেপ্তার করা হল। তাঁদের জঙ্গিও বলা হচ্ছে।” নাভালনি প্রসঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট সাফ বলেন, “ওই ব্যক্তি ওয়ান্টেড। দেশে ফিরলেই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে তা সে জানত। তাই পরিকল্পনা করেই দেশে ফিরেছিল সে।”

উল্লেখ্য, গত বছর আমেরিকায় প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে হারের পর মার্কিন সংসদ ভবনে হামলা চালায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সমর্থকরা। তারপরই পুলিশের হাতে মৃত্যু হয় কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের। এই দুই ঘটনার রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি আমেরিকা। তাই সুযোগ বুঝে বাইডেনের দুর্বল জায়গায় আঘাত করেছেন পুতিন বলেই মত বিশ্লেষকদের। তবে এই তরজার জেরে ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলবে না বলেই মত অনেকের।

[আরও পড়ুন: ভারতে করোনা ত্রাণের নামে জঙ্গিদের মদত, ফাঁস পাকিস্তানি সংগঠনগুলির ষড়যন্ত্র]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement