সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনৈতিক ডামাডোলের মাঝেই হাইতিতে অপহৃত ১৭ মার্কিন খ্রিষ্ট ধর্মপ্রচারক। খোঁজ নেই তাঁদের পরিবারেরও। এমনকী, পরিবারের শিশুদেরও অপহরণ করা হয়েছে বলে খবর।
হাইতির (Haiti) প্রেসিডেন্টকে খুনের পর থেকেই সেখানে রাজনৈতিক ডামাডোল চলছে। এর মাঝেই সেখানকার অনাথ আশ্রমের দায়িত্ব ছেড়ে দেশে ফিরছিলেন ১৭ মার্কিন নাগরিক। তাঁরা খ্রিষ্ট ধর্ম প্রচার করতে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের এই দেশে গিয়েছিলেন। শনিবার সন্ধেয় বিমানবন্দরগামী বাসে ছিলেন তাঁরা। সেখান থেকেই তাঁদের অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: তালিবানে ‘শুদ্ধিকরণ’! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছাড়া প্রকাশ্যে হত্যা নয়, দাবি জেহাদিদের]
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, স্থানীয় আততায়ীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। তবে এখনও অবধি কোনও মুক্তিপণ চাওয়া হয়নি। ফলে কী উদ্দেশ্যে অপহরণ করা হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ প্রসঙ্গে ওয়াশিংটনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র জেনিফার ভিয়াও জানিয়েছেন, বিষয়টির দিকে নজর রেখেছি। যদিও হাইতির মার্কিন দূতাবাসের তরফে ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। তবে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, জুলাই মাসে ক্যারিবিয়ান দেশটির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে নিজের বাসভবনেই খুন হন প্রেসিডেন্ট মোয়েস বলে জানিয়েছেন দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী ক্লড জোসেফ। একদল অজ্ঞাতপরিচয় সশস্ত্র ব্যক্তি প্রেসিডেন্টের বাসভবনে আকস্মিকভাবে ঢুকে পড়ে হামলা চালায়। ওই ঘটনায় আহত হন ফার্স্ট লেডি মার্টিন মোয়েস। তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করানো হয়। কারা এই হামলা চালাল তার তদন্ত শুরু হয়েছে। কেনই বা হামলা চালাল তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। এর পর থেকেই ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জটিতে ডামাডোল চলছেই।
[আরও পড়ুন: আমেরিকার বিরুদ্ধে জলসীমা অতিক্রমের গুরুতর অভিযোগ রাশিয়ার, পালটা দিল ওয়াশিংটন]
প্রধানমন্ত্রী জোসেফ এই হামলার তীব্র নিন্দা করে বলেছিলে্ন, “এটা একটা অমানবিক এবং বর্বরোচিত কাজ।” হাইতির ন্যাশনাল পুলিশ এবং তদন্তকারী সংস্থা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। প্রেসিডেন্টের খুনের ঘটনায় দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। হামলকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নানা দেশের নানা প্রান্ত থেকে আওয়াজ ওঠে। এর মধ্যে সেই দ্বীপপুঞ্জ থেকে অপহৃত হলেন ১৭ মার্কিন নাগরিক।