সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (British PM) পদে ভারতের জামাই ঋষি সুনাকের (Rishi Sunak) বসার সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে। গত কয়েকদিনে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। বিলেতের অধিকাংশ সমীক্ষাই দাবি করছে, এবার কুরসি ছাড়তেই হবে ট্রাসকে। সমীক্ষার ফলাফল থেকেই পরিষ্কার, ইতিহাস গড়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন ঋষিই। আরও জানা গিয়েছে, লিজ ট্রাসকে (Liz Truss) প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বেছে নিয়ে আপশোস করছে ব্রিটেনের জনতা।
ইউগভ নামে সংস্থার একটি সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, এখনই কনজারভেটিভ পার্টির অন্দরে নির্বাচন হলে অনায়াসে জিতবেন ঋষি সুনাক। অন্তত ৫৫ শতাংশ ভোট পড়বে তাঁর দিকেই। তাছাড়াও দলের কর্মী সমর্থকদের অধিকাংশই মনে করেন, এখনই পদত্যাগ করা উচিত লিজ ট্রাসের। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই নিজের সমস্ত ভুল স্বীকার করে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ট্রাস। তবে তার ফলে জনমানসে ট্রাসের প্রতি সমর্থন বাড়বে, এমনটা আশা করছেন না কেউই। ব্রিটেনের আর্থিক দুরাবস্থার জন্য ট্রাসের ভুল নীতিকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন সকলে।
[আরও পড়ুন:পাক জঙ্গিকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণার প্রস্তাব ভারতের, রাষ্ট্রসংঘে বিরোধিতা চিনের]
প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচনের সময় প্রচার করতে গিয়ে লিজ ট্রাস জানিয়েছিলেন, দেশবাসীর উপর থেকে করের বোঝা কমিয়ে নেওয়া তাঁর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। প্রধানমন্ত্রীর কুরসিতে বসেই তিনি কর্পোরেট করের উপরে ৪৫ শতাংশ ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছিলেন। অন্যদিকে, প্রচারের সময় ঋষির মুখে একবারও কর কমানোর বিষয়ে কোনও কথা শোনা যায়নি। বরং তিনি বলেছিলেন, কর ছাড়ের ঘোষণা আসলে অলীক স্বপ্ন। মাত্র ছয় সপ্তাহের মধ্যেই ব্রিটেনবাসী উপলব্ধি করতে পেরেছেন, একেবারে বাস্তব বিষয়টিই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন সুনাক। সেই কারণেই কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা চাইছেন, দক্ষ হাতে দেশ ও দলের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হোক।
তবে অন্য এক ধরনের সমীকরণের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও (Boris Johnson) ফের লড়াইতে ফিরে আসতে পারেন। সেক্ষেত্রে ঋষিকেও পিছনে ফেলে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে আবারও বসতে পারেন জনসন। পার্টিগেট-সহ নানা অভিযোগে বিদ্ধ হয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন বরিস জনসন। তবে তার আগেই পদত্যাগ করছিলেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী ঋষি। অনেকেই মনে করেন, ঋষি পদত্যাগ করেছিলেন বলেই বরিস জনসনের কুরসি আরও বিপাকে পড়ে গিয়েছিল। সেই জন্য কনজারভেটিভ দলের কর্মীদের মনে সহানুভূতি রয়েছে জনসনের প্রতি।