সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাময়িক শান্তি স্থাপন করেও তা ভাঙল সুদানের (Sudan) যুযুধান দু’পক্ষ। সংঘর্ষ বিরতি শেষের আগেই ফের গুলি, বোমা বিনিময়ে জড়াল সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসেনা। এদিকে, আধাসেনা বাহিনীর প্রধান জেনারেল মহম্মদ হামদান দাগালো কড়া বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, অন্য পক্ষ অস্ত্র সংবরণ না করা পর্যন্ত কোনও আলোচনা নয়। অর্থাৎ গৃহযুদ্ধে ইতি পড়া দূরঅস্ত, আপাতত তা জারি রাখার বার্তাই উঠে এল সেনাপ্রধানের কথায়। আফ্রিকার (Africa) যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে আটকে থাকা মোট ২৪০০ ভারতীয়কে (Indians) উদ্ধার করা হয়েছে ‘অপারেশন কাবেরী’র তত্বাবধানে। এখনও পর্যন্ত গৃহযুদ্ধে পাঁচশোর বেশি প্রাণহানি ও ৪ হাজারের বেশি মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন।
তবে এসব ছাপিয়ে এখন উদ্বেগের বিষয় একটাই। ৭২ ঘণ্টার সংঘর্ষ বিরতি (Ceasefire Violation) ভেঙে ফের যুদ্ধে জড়িয়েছে সেনা ও আধাসেনা র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (RSF)। রাজধানী শহর খার্তুম ছেড়ে এবার দারফুরে ছড়িয়েছে যুদ্ধের রেশ। মুহূর্মুহূ গুলি, বোমা আছড়ে পড়ছে। এমনকী উদ্ধারকারী দলও ছাড় পাচ্ছে না। সম্প্রতি তুরস্কের (Turkey)একটি উদ্ধারকারী বিমান ওয়াদি সিদনা বিমানবন্দরে অবতরণের সময়ে তা গুলি করে নামায় দু’পক্ষের মধ্যে একজন। আর তা নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ তুরস্ক।
[আরও পড়ুন: ‘আজ আমার মৃত্যুদিন’, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ‘অভিমানী’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়]
পরিস্থিতি সামাল দিতে তবু কিছুটা নমনীয় সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাতাহ আল-বুরহান। তিনি আলোচনায় রাজি। কিন্তু অনড় আরএসএফ প্রধান। আর দুয়ের মাঝে পড়ে গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশটিতে বিপন্ন জনতা। সুদানে আটকে পড়া বাংলাদেশের (Bangladesh) এক পরিবার জানাচ্ছে, সীমান্তের কাছে এসে তাঁরা আটকে রয়েছেন। সীমান্ত পেরতে ৪০ হাজার ডলার চাইছেন বাসচালক, যা সাধ্যাতীত। এভাবেই দিন কাটাচ্ছেন আরও অনেকে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটি থেকে নিরাপদে পালাতে মরিয়া তাঁরা। এখনও পর্যন্ত ২৪০০ ভারতীয়কে উদ্ধার করা হয়েছে। আরও কেউ আটকে রয়েছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখছে ‘অপারেশন কাবেরী’ টিম।