সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরাট মোড় নিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। দুবছরেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা সংঘাতে এই প্রথমবার আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র চালাল রাশিয়া। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে রাশিয়ার অস্ত্রখান এলাকা থেকে ছোড়া হয়েছে ওই মিসাইল। তার পর থেকেই আন্তর্জাতিক মহলে আতঙ্ক ছড়ায়, এবার কি তাহলে পরমাণু হামলার পথে হাঁটছেন ভ্লাদিমির পুতিন?
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ইউক্রেনের দনিপ্রো এলাকার বেশ কয়েকটি পরিকাঠামো লক্ষ্য করে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া। এই হামলা নিয়ে রাশিয়ার তরফে কিছু বলা হয়নি। তবে ইউক্রেনের বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়, "রাশিয়ার অস্ত্রখান থেকে একটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।" এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা সেই নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। কী ধরণের মিসাইল ছোড়া হয়েছে সেই নিয়েও কিছু জানায়নি ইউক্রেনের বায়ুসেনা।
তবে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, RS-26 Rubezh মিসাইল ব্যবহার করেছে রাশিয়া। সাধারণ বিস্ফোরকের পাশাপাশি পরমাণু বোমাও বহন করতে পারে এই মিসাইল। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে এই মিসাইল। দ্রুত গতিতে ছুটে আসা এই মিসাইল প্রতিরোধ করাও কার্যত অসাধ্য। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাশিয়া যে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে সেখানে পারমাণবিক অস্ত্র নেই। বিশ্লেষকদের মতে, এই আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রে যদি পরমাণু বোমা থাকে তাহলে মাত্র একটি মিসাইলের আঘাতেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে ইউক্রেনের বিরাট অংশ।
উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে জো বাইডেন প্রশাসনের তরফে ইউক্রেনকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে দূরপাল্লার মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারের। পালটা পরমাণু নীতিতে বদল এনেছে রাশিয়া। নয়া নীতিতে বলা হয়েছে পরমাণু শক্তিধর কোনও রাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র যদি রাশিয়ার মাটিতে আঘাত হানে সেক্ষেত্রে পরমাণু শক্তিধর নয় এমন রাষ্ট্রের উপরও পরমাণু হামলা চালাতে পারবে রাশিয়া। পরমাণু নীতি এমনভাবে করা হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, ন্যাটো সদস্যভুক্ত কোনও দেশ যদি এই ধরনের হামলা চালায় তাহলে রাশিয়া এই হামলাকে ন্যাটোর হামলা হিসেবে দেখবে। তার পরেই ইউক্রেনে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে আন্তর্জাতিক মহল।