সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাফল্য কামনা করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুধু তাই নয়, বুধবার মস্কোয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে সাক্ষাতে ‘বন্ধু’ মোদিকে রাশিয়া আসার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
গতকাল মস্কোয় পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জয়শংকর। ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজা সংঘাতের আবহে এই বৈঠকের গুরুত্ব যে অপরিসীম তা বলাই বাহুল্য। আমেরিকা ও পশ্চিমের দেশগুলোর সঙ্গে সৌহার্দ্য বজায় রাখলেও সময় পরীক্ষিত বন্ধু রাশিয়ার পাশেই থেকেছে ভারত। ভূকৌশলগত কারণে চিনকে নজরে রেখে এবং ভূরাজনীতির সূত্র মেনে রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে বরাবরই উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে নয়াদিল্লি। সেই প্রয়াস যে কতটা সফল তা স্পষ্ট হয়ে গেল জয়শংকর-পুতিন বৈঠকে।
[আরও পড়ুন: দুবাইয়ে গ্রেপ্তার মহাদেব কাণ্ডের ‘মাস্টারমাইন্ড’, ফেরানো হবে ভারতে]
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ইউক্রেন সমস্যা সমাধানে ভারতের সাহায্য চেয়েছে রাশিয়া (Russia)। এদিন জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠকে পুতিন বলেন, “আমি জানি আগামী বছর ভারতে নির্বাচন। সে সময় খুবই ব্যস্ত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে তিনি রাশিয়া এলে আমরা খুব খুশি হব। দয়া করে তাঁকে বলবেন (জয়শংকরের উদ্দেশে) আমরা কিন্তু তাঁর আগমনের প্রত্যাশায় থাকব। আমি ইউক্রেন সমস্যা নিয়ে বেশ কয়েকবার তাঁর (মোদি) সঙ্গে কথা বলেছি। আমি জানি, সমস্যার সমাধানে সমস্ত সম্ভব প্রয়াস করতে তিনি রাজি।” বলে রাখা ভালো, এদিন রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গেও বৈঠক করেন জয়শংকর।
গত সোমবার পাঁচদিনের রাশিয়া সফরে মস্কো পৌঁছন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে জটিল ট্রাপিজের খেলা খেলতে হচ্ছে ভারতকে। ইউক্রেন যুদ্ধ সেই পরিস্থিতিকে আরও ঘোরাল করে তুলেছে। কারণ, আমেরিকার দাবি মেনে মস্কোকে আগ্রাসী তকমা দিলে আড়ালে হাসবে চিন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাশিয়ার উপর প্রভাব আরও বাড়িয়ে তুলবে বেজিং যা দিল্লির পক্ষে খুব একটা স্বতিদায়ক হবে না। এদিকে, ইজরায়েল ও হামাস সংঘাতের আগুন ক্রমে লোহিত সাগর ও আরব সাগরে পৌঁছেছে। ইরান সমর্থিত হাউথিরা বাণিজ্যতরীগুলোকে নিশানা করছে। সম্প্রতি হামলাকারীদের শায়েস্তা করা হবে বলে বার্তা দিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। ঘটনার এহেন ঘূর্ণাবর্তে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে চাইছে ভারত।