সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে কথা বললেন ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা। সম্প্রতি ইউক্রেনে আক্রমণের ধার বাড়িয়েছে রাশিয়া। মুহুর্মুহু রকেট হামলা, বোমাবর্ষণ করছে মস্কো। ফলে কিয়েভের কপালে চিন্তার ভাঁজ গভীর হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধ থামাতে উদ্যোগী হওয়ার জন্য ভারতের সাহায্য চাইল ইউক্রেন।
সম্প্রতি রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন জয়শংকর। সেখানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। আলোচনা করেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে। এর কয়েকদিন পরেই বুধবার ফোনে জয়শংকরের সঙ্গে কথা বলেন ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী। দুজনের মধ্যে বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতি ও ভারতের সঙ্গে ইউক্রেনেরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
এবিষয়ে বুধবার দিমিত্র কুলেবা এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘২০২৪ সালের প্রথম ফোন আমি ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরকে করি। দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে আমাদের মধ্যে কথা হয়। একই সঙ্গে আমি তাঁকে বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছি। কীভাবে সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বাড়িয়েছে, কীভাবে ব্যাপক হারে আকাশপথে হামলা বাড়িয়েছে সব কিছু তাঁকে জানিয়েছি। এই ধ্বংসলীলায় সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন হচ্ছে। আগামিদিনে বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের নিয়ে ইউক্রেনের গ্লোবাল পিস সামিট করার পরিকল্পনা রয়েছে। এনিয়েও আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা ভারত-ইউক্রেন আন্তঃসরকার কমিশনের প্রথম বৈঠক করতে সম্মত হয়েছি।’
[আরও পড়ুন: ফের উত্তপ্ত লোহিত সাগর, পণ্যবাহী জাহাজে মিসাইল হামলা হাউথিদের]
এনিয়ে জয়শংকরও এক্স হ্যান্ডেলে জানান, ‘বুধবার দিমিত্র কুলেবার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা উন্নত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে আমাদের মধ্যে। বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতি আমরা আমাদের মতামত বিনিময় করেছি।’ বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়ে অবগত ইউক্রেন। তাই জয়শংকরের রাশিয়া সফরের পরই তাঁকে ফোন করেন কুলেবার।
প্রসঙ্গত, দুবছর পূর্ণ হবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের এই রক্তক্ষয়ী সংঘাতের। আক্রমণ-পালটা আক্রমণে বজায় রয়েছে যুদ্ধের ঝাঁজ। এখনও এই যুদ্ধের কোনও রফাসূত্র পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে অনেক দেশই পুতিন ও জেলেনস্কিকে যুদ্ধ থামানোর বার্তা দিয়েছে। যার মধ্যে ভারতও রয়েছে। এই প্রসঙ্গে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।