সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে কাটল জট। মঙ্গলবার মধ্যরাতের বৈঠকের পর আসন সমঝোতা পাকা হল পাকিস্তানের (Pakistan) দুই বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি ও শাহওয়াজ শরিফের (Shehbaz Sharif) পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের মধ্যে। যার জেরে নিশ্চিত হয়ে গেল শাহবাজ শরিফের প্রধানমন্ত্রিত্ব। সবথেকে বেশি আসন পাওয়া ইমরানের খানের দলের আর সরকার গড়া হল না।
গত প্রায় দুসপ্তাহ ধরে পাকিস্তানের মসনদে কে বসবে, তা নিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতি চলছেই। অবশেষে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি জানিয়েছেন, ”দুই দলের কাছেই সরকার গড়ার মতো সংখ্যা রয়েছে।” এর পরই যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, আসিফ আলি জারদারি মনোনীত হবেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে।
[আরও পড়ুন: নাভালনির মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প, তবে পুতিনের বদলে দুষলেন বাইডেনকে, কেন?]
এদিকে জোট গঠনের পরেই প্রশ্ন ওঠে, জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? দুই দলেরই দাবি, তাঁদের পার্টির নেতাকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। সেই মতো নওয়াজ শরিফের দলের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়, সরকারের প্রথম তিন বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হন শাহবাজ শরিফ। পরের দুবছরের জন্য কুরসিতে বসবেন পিপিপি নেতা বিলাওয়াল। কিন্তু সেই প্রস্তাব পত্রপাঠ ফিরিয়ে দেন প্রয়াত বেনজির ভুট্টোর পুত্র। পরে অবশ্য বিলাওয়াল (Bilawal Bhutto Zardari) জানিয়ে দেন, ”এইভাবে আমি প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না। যদি প্রধানমন্ত্রী হতেই হয়, তাহলে পাকিস্তানের মানুষের ভোটে জিতে এসে হব।” এই পরিস্থিতিতে পাক মসনদে বসতে চলেছেন শাহবাজ শরিফ। অন্যদিকে আসিল আলি জারদারি সম্পর্কে বিলাওয়ালের মত, জারদারি প্রেসিডেন্ট হলে দেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি শান্ত হবে।
এদিকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি হওয়া নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশি হলে দেখা গিয়েছিল, সবচেয়ে বেশি আসনে জয়লাভ করেছেন ইমরানের দলের প্রতিনিধিরাই। যদিও তাঁরা আসলে নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবেই ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা বেশি আসনে জিতলেও যেহেতু একক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে পারেননি, তাই শেষপর্যন্ত তাঁদের পক্ষে সরকার গড় সম্ভব হল না।