সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইটের ছুড়লে পাটকেল খেতে হবে। এই মনোভাব নিয়েই একাধিক দেশের উপরে বিরাট অঙ্কের শুল্ক চাপিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার জেরে রক্তক্ষরণ গোটা বিশ্বের শেয়ার বাজারে। বর্ধিত শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই বিপুল অঙ্কের ক্ষতি হয়েছে ওয়াল স্ট্রিটে। তবে এতকিছু নিয়ে মোটেও ভাবিত নন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর কথায়, রোগ সারাতে গেলে ওষুধের দরকার হয়।
গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বার মসনদে বসেছেন ট্রাম্প। আর বসার পর, এমনকী শপথগ্রহণের আগে থেকেই তাঁকে নানা বিষয়ে গর্জন করতে দেখা গিয়েছে। তারপর ক্ষমতায় বসার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। যার মধ্যে অভিবাসীদের দেশে ফেরানো কিংবা শুল্ক নীতির মতো নানা পদক্ষেপ রয়েছে। প্রেসিডেন্টের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ আমেরিকার আমজনতা। পথে নেমে ট্রাম্পের বিরোধিতা করেছেন তাঁরা।
এহেন পরিস্থিতিতে রবিবার প্রশ্নের মুখে পড়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শেয়ার বাজারের রক্তক্ষরণ নিয়ে তিনি বলেন, "শেয়ার বাজারে কী প্রভাব পড়বে, সেটা তো আমি আগে থেকে বলতে পারি না। তবে এতদিন ধরে চলে আসা বাণিজ্যিক ঘাটতি যদি না মেটানো হয় তাহলে অন্য দেশগুলির সঙ্গে কোনও চুক্তি করা হবে না। মাঝে মাঝে কোনও রোগ মেটাতে ওষুধ দিতে হয়।" মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথায়, শুল্ক-বোমা আছড়ে পড়ার পরে অনেক দেশই নাকি আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি সই করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে, ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর থেকেই ওয়াকিবহাল মহলের আশঙ্কা ছিল ১৯৮৭ সালের ব্ল্যাক মানডের মতোই শেয়ার বাজারে বিরাট ধস নামতে পারে। সোমবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হতে শুরু করেছে বিশ্বের বাজারে। চিনের সাংহাই কম্পোজিট ইন্ডেক্স ৪.২১ শতাংশ পড়ে গিয়েছে। ৭ শতাংশ পড়ে গিয়েছে জাপানের নিক্কেই সূচক। দক্ষিণ কোরিয়ার কোসপির সূচক পড়েছে ৪.৮ শতাংশ। হংকংয়ের শেয়ার বাজার পড়েছে ৯ শতাংশেরও বেশি। অস্ট্রেলিয়া এবং তাইওয়ানের শেয়ার বাজার যথাক্রমে ৬ এবং ৯.৮ শতাংশ পড়েছে। শেয়ার বাজারে রক্তক্ষরণের একই ছবি দেখা যেতে পারে ভারত এবং আমেরিকাতেও। সবমিলিয়ে, ব্ল্যাক মানডের সেই বিপুল ধসের স্মৃতি আবারও ফিরছে বিশ্বের বাজারে।