সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার সুইজারল্যান্ডেও নিষিদ্ধ বোরখা। সমস্ত মুখঢাকা পোশাকও থাকছে এই তালিকায়। এর অন্যথায় রয়েছে জরিমানার বিধান। তবে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয়েছে মুসলিম দলগুলো।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বুধবার বোরখা-সহ সমস্ত মুখঢাকা পোশাকে নিষেধাজ্ঞা জারি করে একটি বিল পাশ করেছে সুইজারল্যান্ডের পার্লামেন্ট। আগেই সংসদের উচ্চকক্ষে সবুজ সংকেত পেয়েছিল বিতর্কিত বিলটি। ফলে এদিন তা আইনে পরিণত হয়। নতুন এই আইন মোতাবেক এবার থেকে বোরখা সমেত সমস্ত মুখঢাকা পোশাক আইনত নিষিদ্ধ। এর অন্যথায় দোষীদের ১ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক বা প্রায় ১ হাজার ১০০ মার্কিন ডলারের জরিমানা করার বিধান রয়েছে। বলে রাখা ভালো, বিতর্কিত বিলটি নিয়ে খানিকটা সংশয় ও আপত্তি রয়েছে মধ্যপন্থী ও বাম দলগুলোর। তবে সুইজারল্যান্ডের দক্ষিণপন্থী দল ‘সুইস পিপলস পার্টি’র দাপটে বিলটি অনায়াসেই পাশ হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: হানাদারদের সামনে ‘অসহায়’ রাষ্ট্রসংঘ, নিরাপত্তা পরিষদে আক্ষেপ জেলেনস্কির]
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে জনসমক্ষে সম্পূর্ণ মুখঢাকা পোশাক নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে গণভোট হয় সুইজারল্যান্ডে (Switzerland)। ভোটাভুটিতে নিষেধাজ্ঞার পক্ষেই মত দেন অধিকাংশ ভোটার। তবে গণভোটে দেখা যায় এই বিষয়ে ফারাক ছিল অত্যন্ত সামান্য। ইতিমধ্যেই এই ধরনের পোশাককে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়ামের মতো ইউরোপের অনেক দেশেই। এমনকী, কোনও কোনও মুসলিম অধ্যুষিত দেশেও রয়েছে এহেন বিধিনিষেধ। আসলে গত কয়েক বছর ধরে বাড়তে থাকা জঙ্গি হামলার কারণে এই ধরনের পোশাকের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে অনেক দেশই। তাদের মধ্যে সুইজারল্যান্ডও ছিল। অবশেষে সেখানে নিষিদ্ধ হল বোরখা, হিজাবের মতো পোশাক।
প্রসঙ্গত, অতীতে ভারতেও বোরখা নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে শিব সেনার মতো হিন্দুত্ববাদী দলগুলো। হিজাব, বোরখা পরলে কড়া শাস্তির বিধান রয়েছে চিনেও। ২০১৯ সালে ইস্টার সানডেতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের জেরে সাময়িকভাবে শ্রীলঙ্কায় বোরখা পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। চার্চ ও হোটেলে ঘটা ওই বিস্ফোরণে আড়াইশোরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। জখম হয়েছিলেন আরও অন্তত ৫০০ জন। সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএসআইএস এই হামলার দায় স্বীকার করেছিল।