সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইয়েমেন থেকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ল তেল আভিভে। হামলার দায় স্বীকার করেছে ইরানের মদতপুষ্ট ইয়েমেনি বিদ্রোহী গোষ্ঠী হাউথি। ইজরায়েলের সেনার দাবি, অন্তত ১৬ জন জখম হয়েছেন ওই হামলায়। সেই সঙ্গে নেতানিয়াহুর সেনা এও স্বীকার করেছে যে, তেল আভিভের নেই ব্রাক শহরে আছড়ে পড়েছে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি। এর আগে গত জুলাইয়েও তেল আভিভে ভয়ংকর ড্রোন হামলা চালিয়েছিল হাউথি। পালটা জবাব দিয়েছিল ইজরায়েলের যুদ্ধবিমান। এবার ইজরায়েল পালটা কোনও হামলা চালায় কিনা সেটাই দেখার।
এর আগে ৯ ডিসেম্বর ইজরায়েলের ইয়াভনে শহরেও হামলা চালিয়েছিল হাউথি। ইজরায়েলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর তেল আভিভ সেদেশের বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক কেন্দ্র। সেখানে সরাসরি হামলা চালানোর ঘটনা এমনিতে বিরলই। কিন্তু মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে দুবার হামলা চালাল ইরানের মদতপুষ্ট বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। আগের হামলার সময় সশস্ত্র সংগঠনটির মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারে জানিয়ে দিয়েছিল, “গাজায় যে হত্যালীলা চালাচ্ছে ইজরায়েল এটা তারই জবাব। আমাদের সামরিক অভিযান সফল হয়েছে। একটি নতুন ড্রোন চালানো হয়েছে যা শত্রুর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চোখে ধুলো দিতে সক্ষম হয়েছে।” আর এবার হাউথির তরফে জানানো হয়েছে, তাদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র একেবারে নিখুঁত লক্ষ্যে গিয়ে আছড়ে পড়েছে। এবং ইজরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসী শক্তি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে সেটিকে ধ্বংস করতে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবর থেকে হামাস বনাম ইজরায়েল সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকেই হেজবোল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট নিক্ষেপের মুখে পড়তে হয়েছে নেতানিয়াহুর দেশকে। পাশাপাশি আক্রমণ করেছে হাউথিও। আসলে হামাসের মতোই হাউথি, হেজবোল্লাও ইরানের মদতপুষ্ট। তাই ইজরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধে তারাও নেমে পড়েছে। চালাচ্ছে হামলা। জানিয়ে দিয়েছে, ইজরায়েল যুদ্ধবিরতির দিকে না হাঁটলে এই ধরনের হামলা চলতেই থাকবে।