সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়নের (European Union) সদস্য হওয়ার দিকে আরও এক ধাপ এগোল যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন (Ukraine)। ইইউ-তে যোগ দেওয়ার জন্য প্রার্থী হওয়ার মর্যাদা অর্জন করল জেলেনস্কির দেশ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রার্থীর মর্যাদা প্রদানের পক্ষে ভোট দিয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy) এক টুইটার পোস্টে লেখেন, ‘ইউক্রেন ভবিষ্যতে ইইউ-র অংশ হবে।’
অন্যদিকে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রধান চার্লস মিশেল এই মুহূর্তকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ উল্লেখ করে বলেছেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ এখন একসঙ্গে।’ বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইইউ নেতাদের বৈঠকে ইউক্রেন সরকারের আবেদনের অনুমোদন যে রাশিয়াকে ক্ষুব্ধ করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে মলদোভাওকেও ইইউ-র প্রার্থী হওয়ার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ইইউ অতীতের সোভিয়েত ইউনিয়নের গভীরে পৌঁছনোর ইঙ্গিত দিল।
[আরও পড়ুন: আড়াই ঘণ্টা পর ৮ তলার কার্নিশ থেকে ঝাঁপ রোগীর, মল্লিকবাজারের নার্সিংহোমে তুমুল বিক্ষোভ]
এ বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ নাম দিয়ে হামলা শুরু করেছিল রাশিয়া। ২৪ জুন সেই অভিযানের চার মাস পূর্তি হল। এক মার্কিন গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট ছিল ৫২৯টি, বিপক্ষে ৪৫টি এবং অনুপস্থিত ছিল ১৪টি সদস্য। এদিন ইউক্রেন ও মলদোভা ছাড়াও জর্জিয়া ইইউ প্রার্থী সদস্য হওয়ার অনুমোদন পেয়েছে।
এদিকে, জানা যাচ্ছে, চার মাসের যুদ্ধে ইউক্রেনের (Russia-Ukraine War) ১৫০-এরও অধিক সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক স্থান সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে রুশ ফৌজ। রাষ্ট্রসংঘের সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, শুধু মানুষ নয়, যুদ্ধে আদতে ইতিহাসকেও হত্যা করছে রুশ সেনাবাহিনী। কারণ, ঐতিহাসিক স্থান ধ্বংস করার অর্থ-ই তো হল, ইতিহাসকে হত্যা করা। রুশ হামলায় বহু জাদুঘর, গির্জা, গ্রন্থাগার, স্মৃতিস্তম্ভ এবং ধর্মীয় ভবন ইতিমধ্যেই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে গিয়েছে।