সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার রাতে ফোনে দীর্ঘ কথাবার্তা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মনে করা হচ্ছিল, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবার হয়তো থামতে চলেছে। কেননা পুতিন নাকি ৩০ দিনের আংশিক যুদ্ধবিরতিতে সায় দিয়েছেন। কিন্তু এই দাবিকে উড়িয়ে দিচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তাঁর দাবি, যুদ্ধবিরতিতে মৌখিক সায় দেওয়ার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই লাগাতার কিয়েভে হামলা চালিয়ে গিয়েছে মস্কো।

গতকাল ৯০ মিনিট কথা হয় পুতিন-ট্রাম্পের। জানা গিয়েছে, সেখানে পুতিন নাকি বলেন, কোনও যুদ্ধবিরতি ততক্ষণ সম্ভব নয়, যতক্ষণ না ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য দেওয়া বন্ধ করে পশ্চিম। তবে শেষপর্যন্ত ৩০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতিতে নাকি সম্মত হন রুশ প্রেসিডেন্ট। কেবল তাই নয়, পুতিন নাকি ইউক্রেনের আপাতত হামলা বন্ধ রাখার নির্দেশও দিয়েছেন। এদিকে আমেরিকা জানিয়েছেন, এই নিয়ে ফের রবিবার আলোচনা হবে জেদ্দায়।
কিন্তু জেলেনস্কির দাবি, ইউক্রেন জুড়েই বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে সাইরেনের আওয়াজও। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলছেন, ''হামলা চলছে। বিশেষ করে নাগরিক পরিকাঠামোগুলিতে। এই ধরনের দুঃস্বপ্নের মতো হামলায় আমাদের পরিকাঠামো ধ্বংস করা হচ্ছে। বিপর্যস্ত হচ্ছে ইউক্রেনীয়দের স্বাভাবিক জীবনও। আজ পুতিন পূর্ণ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবও উড়িয়ে দিয়েছেন।''
মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ফোনে পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী, ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার পর আপাতত পরিকাঠামো এবং শক্তি উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে হামলা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। এই পদক্ষেপের ফলে পুরোপুরি যুদ্ধবিরতি না হলেও এটিকে শান্তি ফেরার লক্ষ্যে প্রাথমিক ধাপ বলা যেতেই পারে। তার মধ্যেই জেলেনস্কি দাবি করলেন, আক্রমণের ঝাঁজ এখনও অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। ফলে প্রশ্নচিহ্ন রয়েই যাচ্ছে পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে।