সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের চিনা (China) আগ্রাসন। অরুণাচলের সীমান্তে আস্ত একটা গ্রাম বানিয়ে ফেলেছে চিন। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের রিপোর্টে উঠে এল এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। আমেরিকার আশঙ্কা, এনিয়ে ফের একবার ভারত-চিন দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হতে পারে।
জো বাইডেন (Joe Biden) প্রশাসনের প্রতিরক্ষা দপ্তরের বার্ষিক রিপোর্টে চিনের সামরিক প্রস্তুতি ও ভূমি আগ্রাসন নিয়ে বিস্তৃত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। দ্রুত মার্কিন কংগ্রেসে জমা পড়বে সেই রিপোর্ট। সেখানে অরুণাচলে (Arunachal) চিনের গ্রাম তৈরির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। তবে শুধুমাত্র ভারতের জমিতে নয়, তিব্বতের (Tibet) অংশও দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করছে বেজিং। এমন অভিযোগও করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রক।
[আরও পড়ুন: ইউরোপ ও এশিয়ায় ফের বড়সড় ধাক্কা দিতে পার করোনা, ৫৩টি দেশকে সতর্ক করল WHO]
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের কোনও একটা সময় গ্রামটা তৈরি করা হয়েছে। চিনের স্বায়ত্বশাসিত তিব্বতের অংশ এবং অরুণাচলের পূর্বাঞ্চলের বিতর্কিত জমিতে গ্রাম বানিয়েছে চিন। গ্রামটিতে অন্তত ১০০টি বাড়ি রয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, অসামরিক কাজেই ব্যবহার হচ্ছে গ্রামটি। সারি চু নদীর তীরে অরুণাচলের সুবনসিরি জেলার একটি অংশে গ্রামটি বানিয়েছে চিন। সূত্রের খবর, এখনও সেখানে উন্নয়নের কাজ চলছে। জানা গিয়েছে, এই অঞ্চলে বহুদিন ধরেই চিনের একটি চেকপোস্ট ছিল। এবার সামরিক সজ্জা ছেড়ে চিনের সরাসরি অসামরিক গ্রাম তৈরি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার অত্যন্ত কাছাকাছি চলে আসে চিনা ফৌজের একটি বাহিনী। তবে ভারতের সতর্ক রক্ষীরা তাদের আটকে দেয়। ফলে আবারও মুখোমুখি চলে আসে দুই দেশের ফৌজ। ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শুরু হয় বাকবিতণ্ডা, যা ধাক্কাধাক্কি পর্যন্ত গড়ায়। গত সপ্তাহে হওয়া এই সংঘাত চলে বেশ কয়েক ঘণ্টা। কিন্তু সঠিক সময়ে স্থানীয় কমান্ডারদের হস্তক্ষেপে আপাতত পরিস্থিটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় কোনও ভারতীয় সৈনিক আহত হননি।