সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খুব দ্রুত পরমাণু চুক্তি চায় আমেরিকা। কিন্তু সেটা খুব সহজে হবে না। এমনটাই জানাল ইরান। শনিবার দু’দেশের মধ্যে পরমাণু কর্মসূচি বা পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক শুরু হয়েছে। এই আলোচনা আগামী শনিবার পর্যন্ত চলতে পারে।
ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফের মধ্যে বৈঠক হয়েছে গতকাল। বৈঠকের আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি ইরান পরমাণু অস্ত্রের দৌড় থেকে না সরে তাহলে তাদের নরকের দিকে যেতে হবে! এই পরিস্থিতিতে বৈঠকশেষে আব্বাস জানিয়েছেন, ''আমেরিকার তরফে বলা হয়েছে খুব দ্রুতই কোনও সদর্থক চুক্তির পথে হাঁটা সম্ভব হবে। কিন্তু সেটা খুব সহজে হবে না। সেজন্য দু'পক্ষেরই ইচ্ছাশক্তি থাকা দরকার। তবে আমি মনে করি আমরা দরাদরির মূল জায়গাটার খুব কাছাকাছিই রয়েছি। আমরা কিংবা বিপরীত পক্ষ, কেউই চাই না নিস্ফলা আলোচনা। স্রেফ আলোচনার জন্য আলোচনা, যা কেবল সময় নষ্ট করে, সেটা মোটেই কাম্য নয়।'' এদিকে হোয়াইট হাউসও এই বৈঠককে 'অত্যন্ত সদর্থক ও গঠনমূলক' বলেই বর্ণনা করেছে। ট্রাম্পও জানিয়েছেন, ''আমার ধারণা ওঁরা ঠিক আলোচনাই করছেন। তবে শেষ পর্যন্ত না পৌঁছনো অবধি কিছু বলা মুশকিল।''
ইরানকে আগে একাধিকবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট আগেই জানিয়েছেন, ট্রাম্পের চূড়ান্ত লক্ষ্যই হল ইরান যাতে কখনওই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে না পারে তা নিশ্চিত করা। আপাতভাবে সেজন্য কূটনৈতিক পথই অবলম্বন করতে চান তিনি। কিন্তু আলোচনায় সুরাহা না হলে সব পথই খোলা আছে। তাঁর কথায়, ”উনি ইরানকে পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন, সব পথই খোলা রয়েছে। ইরানকে এবার বেছে নিতে হবে তারা কী চায়। হয় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবি মেনে নাও অথবা নরকে যাও। প্রেসিডেন্ট এটা বুঝিয়ে দিয়েছেন। এব্যাপারে তিনি অত্যন্ত কঠোর।”