সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুল্কযুদ্ধের ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারত-সহ এশিয়ার একাধিক দেশের উপর উচ্চহারে আরোপ করা হয়েছে শুল্ক। আগামী ৯ এপ্রিল থেকেই এই শুল্ক নেওয়া হবে। আর এই পরিস্থিতিতে মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কায় বাজারমুখী মার্কিন নাগরিকেরা। রীতিমতো ব্যাগ ভর্তি করে দোকানে দোকানে তাঁদের ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। উদ্দেশ্য, মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কায় আগে থেকেই ভাঁড়ার ভরিয়ে রাখা। এই দৃশ্যই বুঝিয়ে দিচ্ছে শুল্ক-কাঁটায় ঘায়েল হতে ভয় পাচ্ছেন মার্কিন নাগরিকরাও।
এই মুহূর্তে আমেরিকায় আসবাব থেকে জুতো, আবার কফি থেকে গাড়ি সব কিছুরই জন্য লাইন লাগাচ্ছেন মার্কিন নাগরিকরা। লক্ষ্য, নয়া শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে রাখা। মূলত কোন কোন জিনিসের জন্য ঝাঁপাচ্ছেন আমেরিকানরা? ইলেকট্রনিক সামগ্রী হোক বা গৃহস্থালীর সামগ্রী যথা ডিশওয়াশার ও মাইক্রোওয়েভ, এবং গাড়ি, আসবাব, জুতো, ছোটদের ডায়াপার, খেলনা, শিশুদের জামাকাপড়- সব কিছুরই চাহিদা তুঙ্গে।
গত বছরের নভেম্বরে নির্বাচন জিতে ফের আমেরিকার মসনদে বসেন ট্রাম্প। আর ক্ষমতায় ফিরেই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, যে দেশ আমেরিকার পণ্যে যতটা শুল্ক চাপিয়ে থাকে, ২ এপ্রিল থেকে সেই দেশের পণ্যে পালটা তার উপযুক্ত শুল্ক চাপানো হবে। সেই মতোই গত বুধবার ভারতীয় সময় রাত দেড়টা নাগাদ (আমেরিকার স্থানীয় সময় অনুযায়ী বিকেল ৪টেয়) ‘পারস্পরিক শুল্ক’ ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভারত ও থাইল্যান্ড-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছে আমেরিকা। যার জেরে এখন থেকে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য করতে গেলে বাড়তি টান পড়বে পকেটে।