সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝরাতে গদিচ্যুত হয়েছেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন ‘কাপ্তান’ ইমরান খান (Imran Khan)। এদিকে পাক সংসদে আস্থা ভোটের তোড়জোড় শুরু হতেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনও ছেড়েছিলেন তিনি। কপ্টার চেপে ইসলামাবাদ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু কোথায় গিয়েছেন তিনি, তা এখনও রহস্যে মোড়া। এর পর কেটে গিয়েছে ১৫ ঘণ্টারও বেশি সময়। খোঁজ নেই ইমরান খানের। কোথায় গেলেন ১৯৯২ সালের বিশ্বজয়ী অধিনায়ক? উঠছে প্রশ্ন।
ক্ষমতাচ্যুতির ১৫ ঘণ্টা পরেও প্রকাশ্যে আসেননি ইমরান। আস্থা ভোটে হারের পরও টুইটারে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তিনি। কোনও বার্তা দেননি দেশবাসীর উদ্দেশেও। ফলে ইমরানকে নিয়ে ক্রমশ জল্পনা বাড়ছে। ভবিষ্যৎ নিয়ে কী পরিকল্পনা করছেন তিনি? আছেন-ই বা কোথায়? গ্রেপ্তারির ভয়ে তিনি কি পাকিস্তান (Pakistan) ছেড়েছেন, উঠছে প্রশ্ন। তবে ইমরান যাতে দেশ ছাড়তে না পারেন, তার জন্য ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। এমনকী, কাপ্তানের মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও নাম রয়েছে এই পিটিশনে। সোমবার সেই মামলার শুনানি।
[আরও পড়ুন: ছোটবেলায় দুর্নীতিতে হাতেখড়ি, মগরাহাট হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত জানে আলমের পরিচয় জানেন?]
যদিও সূত্রের খবর, রবিবার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (PTI) বৈঠক ডেকেছেন ইমরান। সেখানে দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন দলের অন্যতম শীর্ষনেতা ফয়জল জাভেদ খান। তবে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত বৈঠক শুরু হয়নি। এদিকে এদিন দুপুরে তাঁর দলের তরফে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাহ মহম্মদ কুরেশির নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রত্যাশামতো বিরোধীদের তরফে শাহবাজ শরিফের (Shahbaz Sharif) নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়া প্রায় নিশ্চিত। সূত্রের খবর, ১১ এপ্রিল শপথ নেবেন তিনি। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পারেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
অন্যদিকে পাকিস্তানের কোনও সরকারি আধিকারিক যাতে দেশ ছাড়তে না পারেন, তার জন্য তৎপরতা শুরু করেছে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি। বলা হয়েছে, নো অবজেকশন সার্টিফিকেট ছাড়া কেউ বিদেশগামী বিমানে চড়তে পারবেন না। বিষয়টির দিকে নজর রাখতে গোয়েন্দা শাখার কর্মীদেরও সতর্ক করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে এই নির্দেশিকা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: গা ঢাকা দিয়েও হল না শেষরক্ষা, মগরাহাট জোড়া খুনের একদিনের মধ্যেই গ্রেপ্তার জানে আলম]
ইমরান খানের সোশ্যাল মিডিয়া তত্ত্বাবধান করতেন ডা. আরসালান খালিদ। কাপ্তান ক্ষমতাচ্যুত হতেই তাঁর বাড়িতে হানা দেয় সরকারি আধিকারিকরা। নিয়ে নেওয়া হয় তাঁদের মোবাইলও। এর পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাহলে কি ইমরান ও তাঁর সহযোগীদের জন্য অপেক্ষা করে আছে জেলের অন্ধকার ভবিষ্যতই?